ঢাকা রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫

বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রবর্তক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৫, ১২:৪৭ পিএম

বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রবর্তক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন আধুনিক কর্মমুখর বাংলাদেশের রূপকার। জিয়াউর রহমানের দুরদর্শী চিন্তা চেতনার ফসল হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। বিএনপি জন্ম দিয়ে উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি উপহার দিয়েছিলেন শহীদ জিয়া। 

আজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করে।

জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন এবং ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন।

বাবার চাকরির কারণে জিয়াউর রহমান কলকাতার হেয়ার স্কুলে লেখাপড়া করেন। ভারতবর্ষ ভাগের পর তার বাবা পরিবার নিয়ে পাকিস্তানের করাচি চলে যান। তখন জিয়াউর রহমান করাচি একাডেমি স্কুলে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি ১৯৫২ সালে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে ১৯৫৩ সালে করাচির ডি. জে. কলেজে ভর্তি হন। একই বছর কাকুল মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন তিনি।

জিয়াউর রহমান ১৯৫৫ সালে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশনপ্রাপ্ত হন। সামরিক বাহিনীতে একজন প্যারাট্রুপার ও কমান্ডো হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন এবং স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স কোর্সে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন।

করাচিতে দুই বছর চাকরির পর ১৯৫৭ সালে জিয়াউর রহমান ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে বদলি হয়ে আসেন। ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেন। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে একটি কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে খেমকারান সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এই যুদ্ধে বীরত্বের জন্য পাকিস্তান সরকার জিয়াউর রহমানকে হিলাল ই জুরাত খেতাবে ভূষিত করে।

১৯৬৯ সালে মেজর পদে উন্নীত হয়ে জিয়াউর রহমান জয়দেবপুরে সেকেন্ড ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড ইন কমান্ড পদের দায়িত্ব লাভ করেন। অ্যাডভান্সড মিলিটারি অ্যান্ড কমান্ড ট্রেনিং কোর্সে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য পশ্চিম জার্মানিতে যান তিনি এবং কয়েক মাস ব্রিটিশ আর্মির সঙ্গেও কাজ করেন।

১৯৭০ সালে একজন মেজর হিসেবে জিয়াউর রহমান দেশে ফিরে আসেন এবং চট্টগ্রামে নবগঠিত অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড ইন কমান্ড পদের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে প্রথমে তিনি ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার নিযুক্ত হন এবং চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, রাঙামাটি, মিরসরাই, রামগড়, ফেনী প্রভৃতি স্থানে মুক্তিযুদ্ধ করেন। 

জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১১ নম্বর সেক্টরের ও জেড ফোর্সের কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। পরে স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বের জন্য তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

বাংলাদেশের ৮ম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০শে মে দেশের দক্ষিণ-পূর্বের বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একদল অফিসার কর্তৃক নিহত হন। জিয়া তার রাজনৈতিক দল, বিএনপির স্থানীয় নেতাদের মধ্যে সংঘটিত একটি সংঘর্ষের মধ্যস্থতা করতে চট্টগ্রামে যান। ৩০শে মে রাতে একদল অফিসার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জিয়াসহ আরো কয়েকজনকে গুলি করে। যার ফলশ্রুতিতে জিয়া নিহত হন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!