শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


জুবায়ের দুখু

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৫, ০২:৩০ পিএম

জনপ্রিয়তা বাড়াচ্ছে সরকার, নির্বাচনের দিকে নজর কতটুকু? 

জুবায়ের দুখু

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৫, ০২:৩০ পিএম

জনপ্রিয়তা বাড়াচ্ছে সরকার, নির্বাচনের দিকে নজর কতটুকু? 

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে তুমুল আলোচনা। আলোচনা হচ্ছে, সরকারের দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার বিষয়টিও।

মূলত বিভিন্ন কারণে সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এ জনপ্রিয়তা আরও বাড়ানোর দিকে সরকারের নজর বেশি বলেও আলোচনা হচ্ছে।

ঠিক এমন সময়ে গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ না পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিএনপি।

দেশের রাজনীতিতে নির্বাচন নিয়ে দলটির সরকারের প্রতি সন্দেহ যেমন বাড়ছে, একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের লম্বা সময়, এমনকি পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার প্রসঙ্গ উঠে আসছে দলটির নেতাদের মুখে।

বিএনপি নেতা রুমিন ফরহানা বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বলেছেন, ‘সরকার এখন ৫ বছর থাকতে চায়।’

যদি দ্রুত নির্বাচন না দেওয়া হয়, তাহলে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ‘হুংকার’ আসছে দলটির পক্ষ থেকে।

মূলত অন্তর্বর্তী সরকার কূটনৈতিকভাবে সফলতা দেখাচ্ছে। রোহিঙ্গা সংকটসহ নানা ইস্যুতে বর্তমান সরকারের ভূমিকা ব্যাপক প্রশংসা কুড়াচ্ছে। এতে দিন যত যাচ্ছে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সরকার।

এতে নির্বাচনী অংশীজনদের আশঙ্কা বেড়েই চলেছে যে, সরকার ‘বড় মেয়াদে’ থাকতে পারে।

সিইসি প্রধান এ এম এম নাসির উদ্দীন অবশ্য বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যের অপেক্ষায় থাকবে না। কমিশনের আইনসিদ্ধ ক্ষমতার ভেতরে থেকে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

দ্রুত নির্বাচনের জন্য বেশি তৎপর বিএনপি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। নির্বাচন নিয়ে বেশ কয়েকবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকও করেছে দলটি।

বিএনপি নেতারা বলছেন, সরকারের বয়স আট মাস পার হলেও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেওয়া হচ্ছে না, সে কারণে তৈরি হচ্ছে সন্দেহ। উঠছে নানা প্রশ্ন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট ধোঁয়াশা কাটাতে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা জরুরি।’

এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকার থেকে সরে এসে নাহিদ ইসলাম নতুন রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিলেও সরকারে এখনো দু’জন ছাত্র প্রতিনিধি রয়েছেন। কেউ কেউ বিষয়টিকেও সন্দেহের চোখে দেখছেন।

অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার হয়তো গঠিত নতুন এ দলে নিজেদের নাম মেলাতে পারে।

এমন সব ধোঁয়াশার মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকার বলছে, নির্বাচন হবে চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে।

এদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন থেকে সংস্কারকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সরকার সময় নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জুলাই অভ্যুত্থানের পর গড়ে ওঠা নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলছে, নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার বিচার ও মৌলিক সংস্কার করতে হবে। তবে ওই দাবি পূরণ হলে নির্বাচনে যেতে তারাও রাজি।

এ বছরের ৮ মার্চ প্রকাশিত ‘জনগণের নির্বাচন ভাবনা’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়, জুন মাসে শহরাঞ্চলের চেয়ে গ্রামাঞ্চলের বেশি মানুষ নির্বাচন চায়। চলতি বছরের জুন মাসে গ্রামাঞ্চলের ৩৪.৪১ শতাংশ আর শহরাঞ্চলের ২৩.৯৫ শতাংশ নির্বাচন চায়।

ডিসেম্বরে শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলের একই শতাংশ মানুষ নির্বাচন চেয়েছে। শহরাঞ্চলে ২৬.৪৬ শতাংশ ও গ্রামাঞ্চলে ২৬.৫৮ শতাংশ মানুষ নির্বাচন চেয়েছে।

ওই প্রতিবদেন অনুযায়ী দেখা যায়, ডিসেম্বরে নির্বাচন চাওয়ার সংখ্যার চেয়ে জুনে নির্বাচন নিয়ে যেতে চায় সাধারণ জনগণ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, সংস্কারে জোর দিলেও বিভিন্ন খাতে, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না অন্তর্বর্তী সরকার। এমন অবস্থায় দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি নির্বাচিত সরকার না এলে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নিতে পারে।

লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক বদরুদ্দীন উমর বলেন, নির্বাচনের জন্য যেসব প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, সরকারের তা দ্রুত সম্পন্ন করা উচিত।

‘অন্তর্বর্তীদের উচিত সেটা দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দিয়ে দেওয়া। এ বছরের মধ্যেই তাদের সব কাজ শেষ করে ফেলা উচিত। তাদের মেয়াদ দীর্ঘায়িত করা ঠিক হবে না। নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে দেওয়া উচিত।’

তবে চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

গত ২৫ মার্চ এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। আমরা চাই, আগামী নির্বাচনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক। এ জন্য নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।’

Link copied!