ঢাকা শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫

ফ্যাসিবাদ নির্মূল না করে ঘরে ফিরব না: নুরুল হক

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৫, ০৯:০০ পিএম
সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ফ্যাসিবাদ নির্মূলে গণঅধিকার পরিষদ প্রতিরোধ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, এই ফ্যাসিবাদ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) মোহাম্মদপুরে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশ তিনি এ কথা বলেন।

নূর বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের ৮ মাসেও গণহত্যার বিচার ও গ্রেপ্তারে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দলগুলো নিজদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত ও আদিপত্য কায়েমে ব্যস্ত হয়ে গেছে। যে কারণে আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা রাজপথে নেমে হুংকার দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর দলগুলো নিজেদের সমীকরণ মেলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে অভ্যুত্থানের ৮ মাস পার হলেও নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর যারা হামলা-গুলি চালিয়েছে, তাদের বিচার করা সম্ভব হয়নি।’ 

প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘প্রশাসন আগের মতো দলবাজি শুরু করছে। ২/১ টি দলের সঙ্গে সখ্য গড়ে কাজ চালাতে চাচ্ছে।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যারা দলবাজি করবে তাদের পরিণতি হারুন-বেনজিরদের মতো হবে।’

নুরুল হক বলেন, ‘সড়ক-পরিবহন, কল-কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি-দখলবাজি চলছে। কিশোর গ্যাং, মাদকব্যবসায়ীসহ অপরাধীদের রাজনৈতিক নেতারা শেল্টার দিচ্ছে; জনগণ এগুলো পছন্দ করছে না। এদের বিরুদ্ধে জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম, অধিকার আদায়ে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ, কৃষক-শ্রমিক জীবন দেয় আর সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে ভাওতাবাজ ও ভণ্ড নেতারা, উপর তলার কিছু লোকেরা।’

‘স্বৈরতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রের সংস্কার করে গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে। ফ্যাসিবাদ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত গণঅধিকার পরিষদ ঘরে ফিরবে না।’

গণ-অভ্যুত্থানের অংশীদার রাজনৈতিক দলসমূহকে আওয়ামী লীগ প্রশ্নে অবস্থান পরিষ্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এ নেতা বলেন, ‘জুলাইয়ের বীর-জনতাকে আরেকটু ধাক্কা দিয়ে ফ্যাসিবাদ নির্মূল করতে হবে।’ 

নুরুল হক আরও বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতের সুচিকিৎসা ও ক্ষতি পূরণ নিয়েও রাজনীতি চলছে, যা মোটেও কাম্য নয়। বর্তামানে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলে দেশের সংস্কার প্রয়োজন বলেই সরকারের বিরুদ্ধে গণঅধিকার পরিষদ কোনো জোরালো বক্তব্য দেয়নি। আহতদের সুচিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পূরণ না দিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো রাষ্ট্র পরিচালনা করলে মেনে নেয়া হবে না।’