প্রবাসীদের ভোটের আওতায় না আনলে আমরা মানব না। অবশ্যই আগামী নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার বিষয়ে অংশীজনদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত এক সেমিনার শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান বলেন, আমাদের দেশের কাছে মনে হয়েছে প্রক্সি সিস্টেমটা আগামী নির্বাচনে অ্যাপ্লাই করা যেতে পারে। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে আমরা গণঅধিকার পরিষদ থেকে সবসময় সংগ্রাম করেছি। আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বলেছি, যেহেতু অভ্যুত্থান হয়েছে, সেহেতু এই অভ্যুত্থানে প্রবাসীরা কীভাবে ভূমিকা রেখেছে। তারা যদি রেমিট্যান্স শাটডাউন না করত, তাহলে কিন্তু হাসিনার পতন হতো না। আমরা দেখেছি জুনায়েদ আহমেদ পলক কীভাবে এই রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য প্রবাসীদের বিভ্রান্ত করছিলেন। তারপরও কিন্তু প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠায়নি। যেহেতু এই অভ্যুত্থানে প্রবাসীদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। সুতরাং অবশ্যই তাদের আগামী নির্বাচনে ভোটিং রাইট দিতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যে সূচনা করতে যাচ্ছে, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা তার সঙ্গে আমরা সম্মতি দিয়েছি। তবে কোনো কারণে যদি তাদের ভোটের অধিকার না দেওয়া হয়, আমরা কিন্তু সেটি মানব না। আমাদের কথা হলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় দুই কোটি প্রবাসী রয়েছে। তারা আমাদের দেশের সম্পদ। এই যে বাংলাদেশ এতটুকু টিকে রয়েছে, অর্থনৈতিক গতিশীলতা রয়েছে, এর একমাত্র কারণ হলো আমাদের প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে তার জন্য। অর্থাৎ বাংলাদেশ গঠনে তাদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং শুরুতেই তারা প্রবাসীদের ভোটের আওতায় আনতে কীভাবে কাজ করতে চায়, সে বিষয়ে উপস্থাপন করেছে। তারা তিনটি পদ্ধতি আমাদের দেখিয়েছে। অনলাইন পদ্ধতি, প্রক্সি পদ্ধতি এবং পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে তিনটা পদ্ধতিরই সমস্যা রয়েছে। কোনোটির একটু বেশি, কোনোটির একটু কম। এর মানে ত্রুটিমুক্ত কোনো পদ্ধতি নাই। যেমন অনলাইন পদ্ধতির মাধ্যমে জালিয়াতি করা সম্ভব। স্বাধীনতার পর থেকেই পোস্টাল পদ্ধতি ছিল, কিন্তু আজকে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত পোস্টাল ব্যালটে কেউ কখনো ভোট দেয়নি।
গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে তারা প্রক্সি সিস্টেমের ওপর জোর দিয়েছে। যদিও এখানে সিকিউরিটি কনসার্ন রয়েছে। তারপরও এই তিনটি পদ্ধতির মধ্যে সব থেকে সহজ এবং মোটামুটি রিলায়েবল হলো প্রক্সি পদ্ধতি। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদের প্রত্যেক দলকে ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে এবং এই ১৫ দিনের মধ্যে দলগুলো তাদের প্রস্তাবনা জানাবে। সবকিছু দেখে এবং চিন্তা-ভাবনা করে আমাদের কাছে মনে হয়েছে আগামী নির্বাচনে পদ্ধতিটা অ্যাপ্লাই করা যেতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :