ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪

জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনা

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৪, ১২:০৯ এএম

জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঢাকা: ২০২৪ সালে এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ও কৃতি শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক সংবর্ধনা প্রদান করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা। মঙ্গলবার (১৪ই অক্টোবর) রাজধানীর একটি মিলনায়তনে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগরের অফিস সম্পাদক এস আই সাইম ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. রেজাউল করিম বলেন, তোমাদের আজকের এই অর্জন যেন শুধু তোমাদের নিজেদের জন্য না হয়। এই অর্জন যেন এই জাতিকে মুক্ত করার জন্যে হয়। বাংলাদেশের যতগুলো সমস্যা আছে, সব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে যদি তোমরা শপথ করে থাক, তাহলে তোমার রেজাল্টের আসল স্বার্থকতা হবে। বাংলাদেশের কোন জায়গা আজ দুর্নীতিমুক্ত নয়। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে জালিম মুক্ত করেছে। কিন্তু দেশের মানুষ এখনও জুলুম থেকে রেহাই পায়নি। আমাদেরকে উত্তম জাতি হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ করার জন্যে। 

তিনি আরও বলেন, দেশ এখনও দুর্নীতিগ্রস্ত, অপসংস্কৃতি, অপরাজনীতি, চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেটসহ নানান রাষ্ট্রীয় অসুখের করাল গ্রাসের মধ্যে বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে। দেশের এমন অবস্থা হতে মুক্তির জন্যে,  বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সৎ, দক্ষ, দেশপ্রেমিক, নীতিবান আদর্শ মানুষ হওয়ার জন্যে এই দেশের ছাত্রসমাজের মাঝে কুরআনের দাওয়াত পৌঁছে দিচ্ছে।

কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি আনিসুর রহমান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি কৃতি শিক্ষার্থীদের। যারা ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সুন্দর আয়োজনে উপস্থিত হয়ে আমাদের আয়োজনকে সফল করেছেন।

তিনি বলেন, যে মহান রব আমাদের ভালো ফলাফল করার তাওফিক দিয়েছেন, সর্বাবস্থায় তাঁর শুকরিয়া আদায় করতে হবে এবং ভর্তি পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ পথচলায় আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। পাশাপাশি আমরা যদি সঠিক জীবন গড়র মাধ্যমে আমার রবকে সন্তুষ্ট করতে পারি তাহলে আজকের এই সংবর্ধনা আমাদের জন্য শেষ নয়, কেয়ামতের দিন আমাদের জন্য আরেকটি সংবর্ধনা অপেক্ষা করছে, ইনশাআল্লাহ।

উল্লেখ্য, উক্ত তাৎক্ষণিক কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনায় প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!