ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
বিচারককে আওয়ামী সরকারের নির্দেশ

‘যেভাবেই হোক তারেক রহমানকে সাজা দিতে হবে’

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪, ০৫:২১ পিএম

‘যেভাবেই হোক তারেক রহমানকে সাজা দিতে হবে’

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতীক দল বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি (বিএনপি)। দলটিকে ঘিরে সাধারণ মানুষসহ দলের নেতাকর্মীদের আকাঙ্খা থাকে শীর্ষে। জনপ্রিয় এই দলটির নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে  ২০১৩ সালে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলা চলছিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এ। এই মামলার রায় সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন ওই আদালতের বিচারক মোতাহার হোসেন।

এই বিচারক জানিয়েছেন, মামলার রায় ঘোষণার আগে তার ওপর নানা চাপ এবং হুমকি আসতে শুরু করে। তৎকালীন আওয়ামী সরকারের পক্ষ থেকে তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেভাবেই হোক তারেক রহমানকে সাজা দিতে হবে।

মামলাটি চলাকালে বিচারক প্রথমে তখন মনোভাব করেন, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার রায় যা হওয়ার তাই হবে। বিচারক এমন মনোভাব প্রকাশ করলে তার ওপর চাপ আরও বেড়ে যায়। আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা (পরে আইন সচিব হন) আবু সালেহ  শেখ মো. জহিরুল হক দুলাল বিচারক মোতাহার হোসেনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেন।

একপর্যায়ে পিস্তল হাতে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাকে ধানমন্ডির এক বিচারপতির বাসায় ডাকা হয়। তখন তারা বিচারককে হুমকি দেন, তারেক রহমানকে সাজা না দিলে তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে।

বিচারক মোতাহার হোসেন জানান, মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই, তাই সাজা দেওয়া আইনসঙ্গত হবে না। তবুও তার ওপর চাপ বাড়ানো হয়।

মোতাহার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা জহিরুল হক দুলাল বিচারককে জানান, তিনি রায় লিখবেন, এবং বিচারককে শুধু তা পড়ে শোনাতে হবে। যদিও বিচারক মোতাহার হোসেন পরে নিজের লেখা রায় পড়ে তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন। এই রায় ঘোষণার পর থেকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় পড়েন বিচারক মোতাহার।

চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার এক মাস আগের এই ঘটনা উলটপালট করে দেয় তার সবকিছু। কিছুদিন আত্মগোপনে থাকার পর আদালতে ফিরে আসলেও বুঝতে পারেন তাকে শায়েস্তা করার নানা আয়োজন চলছে। পরে নিজের অফিস গুছিয়ে অবসর নেওয়ার আগের দিন প্রিয় কর্মস্থল ছাড়েন। এক ছেলেকে নিয়ে চলে যান মালয়েশিয়া। এরপর অনেকটা ভবঘুরের মতো সময় কাটিয়েছেন তিনি।

আরবি/জেআই

Link copied!