ঢাকা রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কবে?

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪, ০১:১৭ পিএম

তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কবে?

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্দেশ্য ছিল তাদের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপিকে মামলার জালে আটকে রাখা। যাতে করে যখন খুশি হেঁচকা টানে লাগাম টেনে ধরতে পারত তারা।

বিগত ১৫ বছরে মামলার জালে অক্টোপাসের মতো জড়িয়েছেন বিএনপির তৃণমূল থেকে শীর্ষ নেতারা। যার জন্য চাইলেও অনেক কিছু করতে পারেনি তারা। বছরের পর বছর দিনের আলো ফোটার পর হাজিরা দিতে হয়েছে আদালতে।

আর এরই ধারাবাহিকতায় হত্যা, সহিংসতা, মানহানি ও নাশকতাসহ একাধিক মামলায় জড়িয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেই সঙ্গে তারেক রহমানের নামেও ছিল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাসহ রাষ্ট্রদোহ ও হত্যা মিলে অর্ধশতাধিক মামলা।

তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পতন হয়েছে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। আর এর পর যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়েছেন বিএনপি নেতারা।

একের পর এক মামলা থেকে খালাস পাওয়া সহ রাজনৈতিকভাবেও আবার উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন তারা। আর এরই মধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের প্রতীক্ষায় রয়েছেন। তাদের প্রত্যাশা, দ্রুততম সময়ে তিনি দেশে ফিরবেন।

এ বিষয়ে দলের নেতাকর্মীরা বলছেন, তারেক রহমান বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তার বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাসহ অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে। ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এসব মামলা হয়েছে।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মামলায় ৯ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় তারেক রহমানকে। শুধু তাই নয়, এগুলো ছাড়াও রাষ্ট্রদোহসহ একাধিক মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। আর মূলত এসব মামলার কারণেই দেশে ফিরতে পারছেন না তারেক রহমান।

এ বিষয়ে তারেক রহমানের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোনো বিশেষ সুবিধায় নয়, আইনি প্রক্রিয়ায় মামলা থেকে মুক্ত হতে চান। 
 

আরবি/এফআই

Link copied!