ঢাকা বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫

২৪ ঘন্টার মধ্যে সাবের হোসেন কীভাবে মুক্তি পেলেন? প্রশ্ন রিজভীর

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৪, ০৭:০১ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগ নেতা সাবের হোসেন চৌধুরীর জামিনে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি‍‍`র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, সাবের হোসেন চৌধুরীর নির্দেশে ১১টি গুম খুন হয়েছে। কিন্তু তারপরেও ২৪ ঘন্টার মধ্যে কীভাবে তিনি জামিনে মুক্তি পান?

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) খিলগাওয়ে গুম-খুন হাওয়া শহীদ পরিবারের সদস্যদের উদ্যোগে খুনি সাবের হোসেনের বিচারের দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এর প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়া উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন। তিনি আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় একজন খুনি কীভাবে জামিন পায় বলে প্রশ্ন রাখেন তিনি।

তিনি বলেন, এই এলাকায় কী রকম জুলুম নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়েছে। কতজন হাত-পা হারিয়েছে। জনির মত তরুণ ছেলে জীবন দিয়েছে। তাকে বাড়ি থেকে তুলে এই জায়গায় নিয়ে এসে ১৬টি গুলি করে হত্যা করেছে। এসবে জন্য সাবের হোসেন চৌধুরী দায়ী নয় কী? তার  নির্দেশেই (সাবের হোসেন চৌধুরী) ওই এলাকায় ১১ জন গুম-খুনের শিকার হয়েছে। এর দায় তিনি এড়াতে পারেন না।

তিনি বলেন, যার সন্তান কে খুন করা হয়েছে সেই বাবার চোখের পানি মোছার টিস্যু এখনো তৈরি হয়নি। ছাত্র আন্দোলনে এই এলাকার পাঁচ জন শহীদ হয়েছে। শেখ হাসিনা গণহত্যা চালিয়েছে। তার সহযোগী এই সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি তো শেখ হাসিনার চেতনায় লালিত পালিত। তাদের আমলে কেউ গণতন্ত্রের পক্ষে টু শব্দ করতে পারেনি । বিএনপির পক্ষে, বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে, তারেক রহমানের পক্ষে কথা বলতে পারেনি। এই জন্যই তিনি (সাবের হোসেন চৌধুরী) গুম-খুনের কর্মসূচি সফল করেছেন।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগ খুন করেছে মামলা দেয়নি। দখলবাজি করেছে মামলা নেয় নাই। শেখ হাসিনা চায়নি তাই মামলা হয়নি। ডক্টর ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্দোলনের, জনগণের সমর্থিত সরকার। তারা যদি শেখ হাসিনার অনুসারী হয়। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আসিফ নজরুলের মত মানুষ আছে। তারা থাকা অবস্থায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে কীভাবে সাবের হোসেন চৌধুরী জামিনে মুক্তি পায়। তাহলে এই সরকার কাকে প্রটেকশন দিচ্ছে?

পরে সাবের চৌধুরীর গ্রেপ্তার দাবিতে রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব, মহানগর বিএনপি নেতা ইউনূস মৃধা, সাবেক কাউন্সিলর লিটন, সেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি  ডা. জাহিদুল কবির, যুবদলের মেহেবুব মাসুম শান্ত, আরিফুর রহমান তুষার, ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, মাসুদুর রহমান, রাজু আহমেদ প্রমূখ।