ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারকে সন্দেহের চোখে দেখছে জনগণ: রিজভী

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ০৩:৩৭ পিএম

অন্তর্বর্তী সরকারকে সন্দেহের চোখে দেখছে জনগণ: রিজভী

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নির্বাচনের সময়সীমা বলতে গড়িমসি করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার; যা জনগণ সন্দেহের চোখে দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার ডেমরায় শহীদ পরিবারের সাথে “আমরা বিএনপি পরিবার”-এর প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা সংস্কার করুন। কিন্তু নির্বাচনের তারিখ বলতে আপনাদের এত সংশয় হচ্ছে কেন? গণতন্ত্র হচ্ছে যা কিছু হবে জনগণের কাছে সেটা স্পষ্ট করে বলতে হবে। মানুষ তো এসব বিষয়ে সন্দেহ করে। আপনারা সংস্কারের জন্য কমিশন করলেন, সব করলেন। এটা কত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিবে, কত দিনের মধ্যে একটা অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন হবে?’

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কোন দলকে ভোট দিবে, তাদেরকে নির্বাচন করবে, কে সরকার গঠন করবে। স্পষ্টতা এবং পথরেখা এই দুইটা হচ্ছে গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত। আপনারা সময়সীমা বলতে গড়িমসি করছেন। এইটা তো মানুষ সন্দেহের চোখে দেখছে।

রিজভী বলেন, ‘ড. মোহাম্মদ ইউনূস একজন সম্মানিত মানুষ। বাংলাদেশের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্মান নিয়ে এসেছেন।কিন্তু তাকে সর্বাগ্রে দেখতে হবে মানুষ কোনটাতে বাঁচে, মানুষ কোনটাতে স্বস্তি লাভ করে। নিম্ন আয়ের মানুষ যাতে ঠিকমতো খাইতে পারে সেটার জন্য সবার আগে বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন। অনেক জিনিসের শুল্ক কমিয়েছেন, কিন্তু বাজারে তার কোন ইফেক্ট নেই। চিনি, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ- এগুলোর কিন্তু দাম কমেনি। এগুলোর জন্য দায়ী সিন্ডিকেট। এই আওয়ামী সিন্ডিকেটবাজদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন। তা না হলে গণতন্ত্রের যে চেতনা, আন্দোলনের যে চেতনা, যারা জীবন দিয়েছে তাদের রক্তের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।’

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘শেখ হাসিনা তার ক্ষমতাকে নিরাপদ রাখতে এমন কোন পদ্ধতি নেই যে তিনি অবলম্বন করেননি। বাংলাদেশের সন্ত্রাসী, চোর, বদমাইশ, ডাকাত- এদেরকে তিনি বিচারের আওতায় আনেননি। শেখ হাসিনার অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অনাচারের বিরুদ্ধে যারা কথা বলেছেন তাদেরকে ধরে তিনি কারাগারে নিয়েছেন। যে সমস্ত ছেলে মেয়েরা কোন রাজনীতিই করেন না কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বাধীন মতামত প্রকাশ করেছেন, ব্লগার বলে তাদেরকে তাদের ঠিকানা হয়েছে কারাগারে। এইভাবে তিনি রাজত্ব করতে চেয়েছেন তার গদিকে রক্ষা করার জন্য। তিনি যখন দেখেছেন, এভাবেও তার গদি নিশ্চিত হচ্ছে না তখন তিনি ধরে ধরে হত্যা করেছেন গুম করেছেন, ক্রসফায়ার দিয়েছেন। যার চরম প্রকাশ পেয়েছে গত জুলাই-আগস্ট মাসে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব মিথুন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভির আহমেদ রবিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আরিফুর রহমান তুষার, যুবদল নেতা জাকির হোসেন প্রমূখ।

আরবি/এফআই

Link copied!