ঢাকা শুক্রবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৪

জীবন দিয়ে হলেও শনিবার মহাসমাবেশ করবে জাতীয় পার্টি

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২৪, ০৪:২২ পিএম

জীবন দিয়ে হলেও শনিবার মহাসমাবেশ করবে জাতীয় পার্টি

ছবি, সংগৃহীত

ঢাকা: জাতীয় পার্টির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কিন্তু, ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচি থেকে কোন ভাবেই সরে আসবে না জাতীয় পার্টি। জীবন দিয়ে হলেও আগামীকাল শনিবার মহাসমাবেশ করবে জাতীয় পার্টি বলে জানিয়েছেন গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।

জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা ও অগ্নিকাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার (১ নভেম্বর) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।

জিএম কাদের বলেন, আল্লাহর প্রটেকশনে আমারা এখনো বেঁচে আছি, অন্য কারও প্রটেকশনে নয়। বিচারের জন্য যদি আল্লাহর সাহায্যের দিকে চেয়ে থাকতে হয় তাহলে দেশ কীভাবে চলবে। আমরা একদিনের ডেমোক্রেসি চাই না। ডেমোক্রেসি হবে সব সময়ের। সরকার হবে, ‘অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল’।

আমরা দেশের জনগণের পাশে ছিলাম, সবসময় থাকবো। পরবর্তী প্রজন্মেও জাতীয় পার্টি জনগণের পাশে থাকবে এবং এগিয়ে যাবে। যে হামলা আমাদের ওপর হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের দুই তারিখের কর্মসূচি চলবে। আমাদের কর্মসূচি ও আন্দোলন সবই চলবে নিয়মতান্ত্রিক এবং অহিংসভাবে, বলে জানান তিনি।

জিএম কাদের বলেন, শেখ হাসিনা দেশটাকে যেভাবে বিভক্তি করেছিলেন এখন একইভাবে বিভক্তি করা হচ্ছে। এখন হাজার হাজার মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। দেশটা এখন ভালো অবস্থায় নেই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উদ্দেশ্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, তারা যা বলে তা-ই সঠিক, বাকি সবাই ভুল। উনারা এখন বিচারকার্যে গিয়েও বাধা দেয়। উনাদের ইচ্ছা হলো আমাদের অফিস ভেঙে দিয়ে গেল। কারও যদি ভুল হয় সেখানে ব্যবস্থা নেওয়ার অনেক উপায় আছে, তাই বলে তাকে ধ্বংস করে দেবেন!

আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সবসময় সমর্থন জানিয়েছি। তাদের পক্ষে সে সময় অনেক কথা বলেছি, বিবৃতি দিয়েছি। যে কারণে আমার অনেক ক্ষতিও হতে পারতো, তার কিছুর পরোয়া আমরা করিনি। তারপরও আমাদের বিরুদ্ধে অন্যায় অপবাদ দেওয়া হচ্ছে, বলে দাবি করেন তিনি।

জি এম কাদের বলেন, আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে আটকের পর আমরা মুক্তি দাবি করেছিলাম। ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালানোর প্রতিবাদ করেছিলাম। একইসাথে, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছি। রাজনীতিবিদদের মধ্যে সবার আগে রংপুরে গিয়ে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেছি, আবু সাঈদের শোকার্ত বাবা-মাকে সান্ত্বনা দিয়েছি।

আরবি/এস

Link copied!