ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

গণতদন্ত কমিশন গঠন করে আমেরিকান কনভেনশনাল সিস্টেমে গণশুনানি করতে হবে: এবি পার্টি

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২৪, ০৬:৪০ পিএম

গণতদন্ত কমিশন গঠন করে আমেরিকান কনভেনশনাল সিস্টেমে গণশুনানি করতে হবে: এবি পার্টি

ছবি, রূপালী বাংলাদেশ

সরকারের প্রধান কাজ ছিলো জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সঠিক বিচার ও আহতদের চিকিৎসা, পূনর্বাসনের স্বার্থে প্রথমেই গণতদন্ত কমিশন গঠন করা। আমরা অনেক আগেই সরকারের নিকট দাবি করেছিলাম গণতদন্ত কমিশন গঠনের কিন্তু সরকার এখনো তা করেনি। কোন কাজের শুরুতেই ভুল করলে তখন পুরো কাজটাই আর সঠিক ভাবে করা সম্ভব হয়না। এখনো সময় আছে একটি গণতদন্ত কমিশন গঠন করে আমেরিকান কনভেনশনাল সিস্টেমে গণশুনানির মাধ্যমে যারা শহীদ হয়েছে তাদের তালিকা তৈরি, আহতদের পূনর্বাসন ও অপরাধীদের সঠিক বিচারের আওতায় আনার দাবি করেছে এবি পার্টি।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আমার বাংলাদেশ যুবপার্টি কর্তৃক আয়োজিত এক যুব বিক্ষোভে এই দাবি করেন এবি পার্টির নেতারা। এবি যুবপার্টির আহবায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকনের সঞ্চালনায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয় একাত্তর চত্বরে আয়োজিত বিক্ষোভে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হক। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান ও মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএম নাজমুল হক বলেন, জুলাই বিপ্লবের গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের রক্তের উপর সরকার প্রতিষ্ঠিত। তিনি দাবি করেন আহত ও শহীদদের তালিকা করে অবিলম্বে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। আহতদের সুচিকিৎসায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। তিনি অবিলম্বে গণতদন্ত কমিশন গঠন করে অপরাধীদের সঠিক বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

প্রধান বক্তা হিসেবে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, জুলাই আগষ্টের দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের কথা যাতে দেশের মানুষ জানতে পারে, কারা এই গণহত্যায় জড়িত, কারা খুনী তাদের সম্পর্কেও যেন জনগণ সঠিক ভাবে জানতে পারে সে লক্ষ্যে অনেক আগেই আমরা সরকারের নিকট দাবি করেছিলাম একটি গণতদন্ত কমিশন গঠনের। আমরা দাবি করেছিলাম এই গণতদন্ত কমিশনে আমেরিকান কনভেনশনাল সিস্টেমে গণশুনানি করতে হবে। এই গণশুনানীর মাধ্যমে গণকবরে যারা শহীদ হয়েছেন কিন্তু তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা যাবে। এই গণতদন্তের মাধ্যমেই দেশের মানুষ জানতে পারবে শেখ হাসিনা ও শেখ পরিবার ক্ষমতার লোভে কিভাবে গুম, খুন ও গণহত্যা চালিয়েছে। কিভাবে তারা দেশের মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পাচার করেছে।

সভাপতির বক্তব্যে শাহাদাতুল্লাহ টুটুল বলেন, এই সরকারকে বিব্রত করতে আওয়ামী প্রেতাত্মাতারা নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। পালাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুপ করে ঢুকে পড়ার হুমকি দিচ্ছে। সকল ষড়যন্ত্র রুখতে অবিলম্বে গণতদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে। তিনি ভারতের সাথে বন্দী বিনিময় চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান।

যুব বিক্ষোভে আরও বক্তব্য রাখেন এবি যুবপার্টির দপ্তর সম্পাদক আমানুল্লাহ সরকার রাসেল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক  মাহমুদ আযাদ, গাজীপুর জেলা ও মহানগর সদস্য সচিব সুলতানা রাজিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব মাসুদুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর সদস্য সচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, পল্টন থানা আহবায়ক ইমরান হোসেন শিবলু প্রমুখ।

আরবি/এস

Link copied!