চলতি বছরের জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন প্রশ্নে বিপরীতমুখী অবস্থানে রয়েছে বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চাইলেও জামায়াত চাইছে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষেই ভোট আয়োজন করা হোক।
জামায়াত মনে করে, তড়িঘড়ি নির্বাচন দেশের জন্য ইতিবাচক হবে না। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, আন্দোলন করে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নির্বাচন আদায় করা দুঃখজনক হবে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকারের কাছে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব।’
এলডিপির প্রেসিডেন্ট অলি আহমেদও দ্রুত ভোট না দিলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দ্রুত ভোট না দিলে আমরা বাধ্য হবো ঐক্যবদ্ধভাবে এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্য।’
এদিকে বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন দেশের শীর্ষ এক গণমাধ্যমকে বলেছেন, নির্বাচনের জন্য অনির্দিষ্টকাল অপেক্ষা করার সুযোগ নেই। জনগণের ভাষা বুঝতে হবে। দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণা হলেই শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
তিনি বলেন, ‘সরকার ও নির্বাচন কমিশন যদি আন্তরিক হয়, তাহলে আগস্টের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব। এটা আমরা দেখতে চাই। এ ঘোষণা আমরা শুনতে চাই।’
তবে দ্রুত নির্বাচন ইস্যুতে ভিন্ন সুর জামায়াতের। দলটির নেতারা বলছেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, ‘তড়িঘড়ি করে নির্বাচনে যাওয়ার সুযোগ নেই। মানুষ চায় নির্বাচন হবে সংস্কার করার পর। সেটার সময় কত দিন হবে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে যে নির্বাচনের কথা উঠছে তা আমরা যৌক্তিক মনে করি না। সরকারকে সংস্কারের জন্য সুযোগ দিতে হবে, তবে সেটা দীর্ঘ সময়ের জন্য নয়, একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে হতে হবে।’
দ্রুত নির্বাচনের জন্য সময় বেঁধে দেওয়ার বিষয়ে ভিন্ন মত থাকলেও, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট নিয়ে একমত বিএনপি ও জামায়াত।
আপনার মতামত লিখুন :