বিএনপি`র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অর্থনীতি একটি গর্বিত জাতি হিসেবে স্বাধীন রাষ্ট্র যেখানে গর্বের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারতেন সেই বিষয়টি আমাদের লক্ষ্য রেখে কাজ করতে হবে তার দর্শন তার ভাবনা আমাদের ধারণ করতে হবে।
শনিবার ১৮ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মুক্ত চিন্তা বাংলাদেশ এর উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যার জন্য আমরা ১৬ বছর ধরে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, জেল খেটেছি অনেক নেতাকর্মীর খুন,গুম হয়েছে, সেই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছি, বাংলাদেশ আজ মুক্ত।
তবে মুক্ত চিন্তা ব্যতীত কোন জাতি সামনের দিকে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। আজকের সরকার আর কি করতে পারতো, প্রতিবাদের সাথে সাথে আমরা কি করব, আগামী দিনে সরকার কি করবে বিএনপি কি করবে কি ভাবছেন এজন্য জনগণকে আনতে হবে। আমাদের রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে।
তিনি বলেন ,ধারাবাহিক রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে মনে হয় বাংলাদেশের জনগণ আর মেনে নিতে পারবে না। শেখ হাসিনা বিদায় হওয়ার পর বাংলাদেশের মানুষ বিরাট একটি মনোভাব তৈরি করেছে।
মানুষের মনে যে প্রত্যাশা জেগেছে যে আকাঙ্ক্ষা দেখেছে যে নতুন বাংলাদেশ দেখতে চাচ্ছে সেটি আমাদের ধারণ করতে হবে। রাজনৈতিক হিসেবে ধারণ করতে হবে দল হিসেবে ধারণ করতে হবে। নতুন বাংলাদেশ কিভাবে গড়ব আমরা প্রত্যেকটি বিষয়ের উপর অবস্থান থাকতে হবে। যাতে সরকার ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই তারা দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরে কাজ করতে পারে।
তিনি আরো বলেন,শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান কোথায় আছে সেই বিষয়টি আগামীতে কিভাবে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সঠিকভাবে নিয়ে আসার জন্য আমরা কি করব, স্বাস্থ্য খাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় আমরা স্বাস্থ্য সেবা কি ভাবে জনগণের সেবায় নিয়োজিত করতে পারব সে বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। সেজন্য জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে।
বিএনপি`র এই শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান সাহেব একজন রাজনিতিবিদ ছিলেন। ক্ষমতা নেয়ার পর তিন বছর ছিল। তিন বছরের মধ্যে এরকম একজন মানুষ তিনি সবকিছু কে ভেঙ্গে ফেলে তৈরি করেছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেন। কৃষক শ্রমিক ব্যবসায়ী প্রত্যেক টি বিষয়ের উপর তিনি নজর রাখতেন। সেই বিষয়টি আমাদের অনুসরণ করতে হবে। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন না সরকার প্রধান ছিলেন না একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন।
জিয়াউর রহমান সাহেব একজন আর্মি জেনারেল ছিলেন, যিনি সম্মুখ যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি একজন সংস্কারক ছিলেন।
সুতরাং জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বলতে গেলে শেষ হবে না। তার দর্শন আমাদের মধ্যে চলে আসে। দেশের সর্বস্তরের মানুষের কথা চিন্তা করে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড তৈরি করেছিলেন। অর্থনীতি প্রত্যেকটি মানুষের সমান অধিকার থাকবে।
তিনি বলেন ,তারেক রহমান, বলেছেন,কোন প্রতিহিংসার রাজনীতি হবে না। যারা অপরাধ করেছে তাদের সঠিক বিচার করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। যারা খুন হয়েছে গুম হয়েছে তাদের পরিবারের সাহায্য সহযোগিতা করতে হবে এবং যারা অপরাধ করেছে তাদের সঠিক বিচার করতে হবে।
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য ফ্যাসিস্ট রেজিম তৈরি করে দেশের সকল প্রতিষ্ঠান একদলীয় কায়েম করে ধ্বংস করে দিয়েছে এমনকি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ধ্বংস করেছে।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অর্থনীতি একটি গর্বিত জাতি হিসেবে স্বাধীন রাষ্ট্র যেখানে গর্বের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারতেন সেই বিষয়টি আমাদের লক্ষ্য রেখে কাজ করতে হবে তার দর্শন তার ভাবনা আমাদের ধারণ করতে হবে। জিয়াউর রহমান কারো বিরুদ্ধে সরাসরি তার বক্তব্য ফলো করেনি। তিনি যে কাজগুলো করতেন সেইটা তিনি বলতেন কারো সাথে বিদ্বেষপূর্ণ কোন বক্তব্য ছিল না।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডক্টর এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্র ভিসি অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান,অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর শামীমা সুলতানা সহ প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :