বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ছাত্ররা রাজনৈতিক দল গঠন করলেও যদি সরকারের মধ্যে তাদের প্রতিনিধি থাকে, তাহলে সরকার নিরপেক্ষ থাকতে পারবে না। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে রাজনৈতিক দলগুলো তা মেনে নেবে না।
বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বিরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে না পারে, তবে তারা নির্বাচন আয়োজন করতে পারবেন না। মঙ্গলবার নেওয়া এই সাক্ষাৎকার বুধবার প্রকাশিত হয় বিবিসি বাংলায়।
জুলাই-আগস্টের মধ্যে নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা তো আগেই বলেছি আর্লি ইলেকশন চাই। আমরা বিশ্বাস করি যে, ন্যূনতম সংস্কার করে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা সম্ভব। অতীতের কেয়ারটেকার সরকারগুলোর অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এটা অসম্ভব কিছু নয়। যদি সরকার চায় জুন-জুলাই বা আগস্টের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে।”
নির্বাচন যে সময়ের মধ্যে আশা করছেন, সেটা না হলে পদক্ষেপ কী হবে? এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, “সেক্ষেত্রে আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের দলের মধ্যে এবং যারা আন্দোলনে আমাদের সঙ্গী ছিলেন তাদের সঙ্গেও আলোচনা করবো।”
সংস্কার বিষয়ে ফখরুল বলেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে সংস্কারের কথা বলেছেন, সেগুলোর বাস্তবায়ন করতে দশ বছরও কম পড়বে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং আমরা দুই বছর আগে রাষ্ট্র মেরামতের জন্য ৩১ দফা দিয়েছিলাম, তার মধ্যে এসব বিষয়ও রয়েছে।”
নির্বাচন পর্যন্ত বর্তমান সরকার থাকবে কি না, এমন প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “যদি সরকার পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রাখে, তবে তারা নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে। তা না হলে নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে।”
সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, “এখন আমাদের কাছে কোনো প্রশ্ন নেই।”
আপনার মতামত লিখুন :