সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘মহার্ঘ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত’র প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (জেবিএবি)। রোববার (২৬ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জনানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্রব্য মূল্যের ঊর্দ্ধগতি বিবেচনায় সরকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মহার্ঘ ভাতা প্রদানের নীতিগত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছিল। কিন্তু কিছু কুচক্রী মহলের চাপে সরকার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বলে খবরে প্রকাশ।
জাতীয়তাবাদী ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (জেবিএবি) এই সিদ্ধন্তের কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
জেবিএবি’র আহ্বায়ক মো. ইকবাল হোসেন ও সদস্য সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান (মোস্তাক) স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ লিপিতে তারা বলেন, গত ১০ বছরে খাদ্য দ্রব্যের মূল্য বেড়েছে লাগামহীনভাবে, সেই তুলনায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধির হার সামান্যই (মূল বেতনের মাত্র ৫% হারে)। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পে-স্কেল দেওয়ায়র নিয়ম থাকলেও ১০ (দশ) বছরে কোন পে-স্কেল দেয়া হয়নি।
বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জরিপ অনুযায়ী গত ৫ (পাঁচ) বছরেই শুধু ভোগ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৩১০ শতাংশ, গত ১০ বছরের হিসাব ধরলে এ সংখ্যা ৫০০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।
তাছাড়া, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা ১-২০টি গ্রেডে বেতন পেয়ে থাকেন। উপ-সচিব পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তা ৫ম গ্রেডের (প্রারম্ভিক বেতন ৪৩০০০.০০ টাকা) বেতন পেয়ে থাকেন এবং ২০তম গ্রেডের একজন কর্মচারীর প্রারম্ভিক মূল বেতন ৮২৫০/- টাকা। যেখানে ৫ম গ্রেডের একজন উপ-সচিব পদ মর্যাদার কর্মকর্তার জন্য বর্তমান বাজার মূল্যে সংসার চালানোই কঠিন, সেখানে সকল কর্মকর্তা কর্মকচারীকে উপসিচব এর বেতন ও সুযোগ সুবিধার সাথে তুলনা করে ‘মহার্ঘ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত’ বাতিল সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে তামাশা ছাড়া কিছুই হতে পারে না।
‘মহার্ঘ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত’ বাতিলের পরিবর্তে অবিলম্বে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে রাস্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সরকারি সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য ৩০% মহার্ঘ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত কার্যকরের জোর দাবি জানান তারা।
আপনার মতামত লিখুন :