ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫

গণতন্ত্রের প্রত্যাশা পূরণ না হলে সংকট বাড়বে: শামসুজ্জামান দুদু

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৫, ০৮:২৫ পিএম

গণতন্ত্রের প্রত্যাশা পূরণ না হলে সংকট বাড়বে: শামসুজ্জামান দুদু

ফাইল ছবি

বিএনপি-র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা ভোটের অধিকার। সেই অধিকার যত দ্রুত সম্ভব ফেরত দিয়ে এ দেশে একটি গ্রহনযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা যেন মানুষ স্বাভাবিকভাবে জীবন ধারণ করতে পারে। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা।

এ বিষয়গুলো আমরা আগেও বলেছি এখনও বলছি। ভবিষ্যতে এটা মীমাংসা করা যায়, বিএনপির সে দায়িত্ব গ্রহণ করতে চায় বলে আমরা রাস্তায় নেমেছিলাম। রাস্তার আন্দোলনে যেটি আমাদের নেতা বলেছিলেন যে ফয়সালা হবে কোথায়। এই রাজপথেই ফয়সালা হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা মনে করি গণতন্ত্রের প্রত্যাশা যদি পূরণ না হয় তাহলে সংকট আরও বাড়বে। এই সংকটকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নির্বাচিত একটি সরকার দরকার।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় শহরের স্কাইভিউ রেস্টুরেন্টে নীলফামারী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘এটি একটি সাংগঠনিক সভা। নীলফামারীর বন্ধুদের সাথে মতবিনিময় হচ্ছে। সংগঠনের সার্বিক পরিস্থিতি কি সেটা দেখা। সংগঠনকে তৈরি করা। সংগঠনকে শক্তিশালী করা ও ঐক্যবদ্ধ করা। সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে সমস্যাগুলোকে সমাধান করা। আমরা দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করেছি ১৬-১৭ বছর। গণতন্ত্রের পিপাসার প্রত্যাশায়, স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে। ফ্যাসিবাদকে তাড়িয়ে বাংলাদেশে এখন জঞ্জাল মুক্ত হওয়ার পথে আছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা চাইছি যাতে বাংলাদেশে সঠিক, স্বাভাবিক, গ্রহণযোগ্য ও অংশীদারিত্বমূলক একটি নির্বাচন করে। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ, তার পছন্দের দল এবং প্রার্থীকে নির্বাচিত করবে এবং এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার তৈরি হবে, যারা দেশ পরিচালনা করবে।’

‘জামায়াত-বিএনপি’ সম্পর্ক নিয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো দিনক্ষন বেধে দেয়নি। না জামাত, না বামপন্থী, না দক্ষিনপন্থী, না উত্তরপন্থী। সেহেতু জামাত-বিএনপি বিভক্তি করার দরকার নেই। সবাই নির্বাচন চাচ্ছে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে, প্রয়োজনীয় সংস্কার করে। অর্থাৎ সংস্কার আর নির্বাচনের মধ্যে কোন সংঘাত নেই। জামাত-বিএনপির সংঘাত নাই। একটি ভালো নির্বাচনের জন্য যেটুকু সময় দরকার। এর অতিরিক্ত সময়ে যেন না হয়।’

বিগত সরকারের দুর্নীতি নিয়ে দুদু বলেন, ‘সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে এই দেশে। হাজার হাজার মানুষকে গুম খুন নিখোঁজ করা হয়েছে এই দেশে গণতন্ত্রের প্রত্যাশায়। একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। নব্বইয়ের গণ অভ্যুত্থান হয়েছে। সর্বশেষ ২৪শের গণঅভ্যুত্থান। ছাত্র জনতার রক্ত দিয়ে দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে। এখন বাংলাদেশের প্রত্যাশা মানুষের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের। কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষ একটু স্বস্তির সঙ্গে বসবাস করতে চায়। শ্রমিক তার অধিকার চায়। সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে জীবন যাপন করতে চায়। সেই জায়গায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল তার নেতা জনাব তারেক রহমান সংগঠনকে মানুষের প্রত্যাশা পূরণের জন্য পূর্বের মতোই মানুষের পাশে দাঁড় করাতে চায়। সেই লক্ষ্যেই আজকের এই সভা। এই সভা থেকেই আমরা আগামী দিনের যে কর্মসূচি সেই কর্মসূচি গ্রহণ করব।’

সাংগঠনিক সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) আব্দুল খালেক, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম। জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক জহুরুল আলমের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাড. মিজানুর রহমান চৌধুরী।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!