গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) সুনামগঞ্জ জেলা শাখার কমিটি গঠনের লক্ষে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এই সভা হয়। এসময় জেলার নেতৃবৃন্দ কমিটি গঠনের বিষয়ে মতামত দেন।
মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, "জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ কে নতুন করে গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। এই দেশে রাজনীতিতে দূর্বত্তদের প্রভাব রয়েছে। রাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য শিক্ষিত মেধাবীদের রাজনীতিতে যুক্ত হতে হবে।নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তর জন্য তরুণদের নেতৃত্ব দিতে হবে। এই তরুণদের নেতৃত্বে জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে পরিবর্তনের মূল বাহক হচ্ছে তরুণরা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অর্ন্তবর্তী সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদ দূর্বল হওয়ায় তারা সঠিক কিংবা কঠোর কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাব গুলো দিয়েছি সেগুলো পর্যালোচনা করে বাস্তবায়ন করতে হলে রাষ্ট্র সংস্কারে পূর্বে উপদেষ্টা পরিষদেরও সংস্কার আনা জরুরি। আওয়ামিলীগ গত ১৫ বছর দেশে গুম খুন করেছে,সব শেষ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশে গণহত্যা চালিয়েছে, কিন্তু সেই আওয়ামিলীগের অপরাধীদের বিরুদ্ধে সরকার তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না। দল হিসেবে আওয়ামিলীগও অপরাধের সাথে জড়িত। গণহত্যার দায়ে আওয়ামিলীগকে নিষিদ্ধ করতে না পারা অন্তবর্তীকালীন সরকারের দূর্বলতা।
আমরা দেখেছি সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ গণ-আন্দোলনের মুখে পালিয়ে গেছে। গত ৮ ডিসেম্বর তিনি রাশিয়ায় পালিয়ে যান। এর ফলে দেশটিতে তার রাজনৈতিক দল বাথ পার্টির কয়েক দশকের ক্ষমতার অবসান ঘটেছে। এবার তার দলকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে দেশটির ডি ফ্যাক্টো সরকার। কিন্তু গণহত্যায় জড়িত আওয়ামিলীগের বিরুদ্ধে কেন অর্ন্তবর্তী সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না। দেশে বিভিন্ন স্থানে এখনও আওয়ামিলীগের সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও সরকার ব্যবস্থা নিতে পারছে না। বিভিন্ন স্থানে আওয়ামিলীগ গুপ্ত হত্যা চালাচ্ছে কিন্ত প্রশাসন কিছুই করতে পারছে না। যেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হবে সাথে সাথে সেখানকার এসপি,ডিসি,ইউএনও ও ওসি বান্দরবান পাঠান, দেখবেন প্রশাসন কিভাবে তখন তৎপর হয়। একশোরও বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল কিন্তু মাত্র ৩০ জনকে আটক করেছে, এটা নিয়ে হাইকোর্টও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। অপরাধীদের ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করা উচিত।
একটা বিষয় খেয়াল করলে দেখবেন গণহত্যার দোসররা এতো দিন চুপ ছিল। আওয়ামিলীগ পালিয়ে থেকে কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে।তারা ফেব্রুয়ারিতে নাকি হরতাল অবরোধের মত কর্মসূচি দিবে। এসব কর্মসূচির নামে যেকোন বিশৃঙ্খলা কে মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে সুশীলতার ছলে একটা গোষ্ঠী আওয়ামিলীগ কে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। তাদের বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদ সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রাজনীতিবিদদের মুখের কথা এবং মনের থা এক হবে। দেখা মুখে বলে এক আর বাস্তবে করে আরেক। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে আগে আমাদের নিজেদেরকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। আমরা আগামী তে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিবো। নিজেদের ইতিবাচক কাজের মাধ্যমে জনগণের কাছে যেতে হবে,জনগণের পাশে থাকতে হবে। আমরা কোন চাঁদাবাজ দখলদার কে প্রশ্রয় দিবো না। গণঅধিকার পরিষদের অবস্থান চাঁদাবাজ ও দখলদারদের বিরুদ্ধে।
আপনার মতামত লিখুন :