বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা যেভাবে স্বৈরাচারী আচরণ করেছে, সেভাবেই জনগণ তাদেরকে বিতাড়িত করেছে। এদেশের মানুষের উপর নির্যাতন করার জন্য। নেতা-কর্মীদের না বলে এই শেখ হাসিনা তার বোনকে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছে। এই আ`লীগের বিরুদ্ধে ১৫ বছর কিশের জন্য আন্দোলন করেছি, তা জনগণকে বুঝাতে হবে। প্রতীত সরকারের কর্মীরা বাংলাদেশ নিয়ে নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে। এদেশের জনগণ এতো নির্যাতন সহ্য করেছে তা এতো সহজে ছেড়ে দিবেনা। শেখ হাসিনার সাথে যারা ছিলো, তারা ব্যাংক লুট, বিদেশে টাকা পাচার, ও চাঁদাবাজি করেছে।
তিনি বলেন, বিগত ১৫টি বছর আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য, ভোটের জন্য, সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আন্দোলন করেছি। অন্তবর্তীকালীন সরকার বেশিদিন থাকতে পারেনা। তাদের প্রতিশ্রুত অনুযায়ী জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচীত সরকারের নিকট দায়িত্ব দেয়া। নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। দেশ অনিদিস্ট কালের জন্য কারো শাষনে থাকতে পারেনা। জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চাই।
শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় দেশে গণহত্যাকারী, খুনি ফ্যাসিস্ট এবং পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস নৈরাজ্য,ষড়যন্ত্রমূলক কর্মসূচির প্রতিবাদে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণার দাবিতে দাউদকান্দিতে আগামী আট ফেব্রুয়ারী বিশাল এক জনসভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।জনসভাটি সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দাউদকান্দি উপজেলা বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আ.লীগ যে অন্যায় করেছে, সেটা যেনো বিএনপির নেতা-কর্মীরা না করে সেই নির্দেশ করছি। ক্ষমতায় না আশা পর্যন্ত আপনাদেরকে ধৈয্য ধরার অনুরোধ করছি। ১৫ বছর অনেক কস্ট করেছেন। সেটা ধরে রাখতে হবে। জনগণ যেন আমাদেরকে বলতে না পারে। যে বিএনপিও আ`লীগের মতো শুরু করেছে। দাউদকান্দি তিতাসকে ধানের শীর্ষের ঘাটি হিসেবে তৈরী করতে হবে। এটা আমার বা মারুফের ঘাটি নয়। সকলের ঘাটি হিসেবে মনে করতে হবে। চিকিৎসা নিয়ে দেশে আশারপর আপনাদের সাথে দেখা করতে পারিনি। আপনাদের দোয়ায় আল্লাহতালা আমাকে নতুন করে জীবন দিয়েছে। সে জন্যে আল্লাহ তায়ালার নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। প্রস্তুতী সভায় পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ সেলিম সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেনসহ অন্যান্যনেতৃবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :