গণঅধিকার পরিষদ তাদের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই গণহত্যার বিচার দাবি করে আসছে, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় তারা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, "যদি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট না হয়, তবে আমরা যমুনা ঘেরাও করব।" তিনি আরো বলেন, "আওয়ামী লীগ যে অপরাধ করেছে, তার জন্য তারা কখনো ক্ষমা পেতে পারে না। শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত।"
রাশেদ খাঁন বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সহানুভূতি দেখানো মানে শহীদের রক্তের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করা। তিনি সরকারের কাজকর্মের সমালোচনা করে বলেন, "রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য যে উপদেষ্টাদের নিয়ে সরকার কাজ করছে, তারা অযোগ্য এবং তাদের মাধ্যমে কোনো উন্নতি সম্ভব নয়।"
তিনি আরো দাবি করেন, "গত ৬ মাসের জবাবদিহিতা চাই, উপদেষ্টাদের আর্থিক হিসাব জনগণের সামনে পেশ করা উচিত, কেননা তাদের কাছ থেকে কোনো জবাবদিহিতা দেখতে পাচ্ছি না।"
এ সময় গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান বলেন, "আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না, বরং তাদের প্রতি নমনীয়তা এবং উদারতা দেখা যাচ্ছে।"
গণঅধিকার পরিষদ তাদের পরিষ্কার দাবি জানিয়েছে যে, যতদিন না পর্যন্ত গণহত্যার বিচার হবে, ততদিন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।