দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে বিতাড়িত পরাজিত স্বৈরাচারের উসকানিমূলক আচরণ এবং তার দোসরদের অশালীন মন্তব্য দেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও ক্রোধের জন্ম দিয়েছে। এর ফলস্বরূপ, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত স্বৈরাচারের স্মৃতি, মূর্তি ও নামফলক ভেঙে ফেলার মতো জনস্পৃহা দেখা যাচ্ছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গত ৬ মাসে পলাতক স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরদের আইনের আওতায় আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সফল হয়নি, ফলে জনগণ বেআইনি কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হচ্ছে। সরকার যদি এভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়, তবে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে।’’
রিজভী বলেন, ‘‘জুলাই মাসে ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ছিল দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের একটি প্রত্যাশা। বর্তমান সরকারের জন্য এটি ছিল সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়ার কথা, কিন্তু বর্তমানে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ‘মব কালচারের’ মাধ্যমে সড়কে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে, যা সরকার নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।’’
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘সরকার যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা না দেখাতে পারে, তবে রাষ্ট্র ও সরকারের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে। এর ফলে দেশে উগ্র নৈরাজ্যবাদী শক্তি এবং পরাজিত ফ্যাসিস্টদের পুনরুত্থানের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।’’
এতে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসুক। যদি তা না হয়, তবে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বাড়বে। তাই এখন সময়ের দাবি হলো কঠোরভাবে আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা এবং রাষ্ট্র ও সরকারের ভূমিকা দৃশ্যমান করা।’’