নতুন আইন তৈরি করে গণহত্যার বিচার তরান্বিত করার আহবান

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৫, ০৬:২৯ পিএম

নতুন আইন তৈরি করে গণহত্যার বিচার তরান্বিত করার আহবান

ফাইল ছবি

প্রয়োজনে নতুন আইন তৈরি করে শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী-বাকশালীদের সকল খুন, গুম ও জুলাই গণহত্যার বিচার তরান্বিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমআ বাড্ডা  থানা জামায়াত আয়োজিত ফ্যাসিস্ট, পতিত আওয়ামী সরকারের গুম, খুন, জুলাই গণহত্যার বিচার ত্বরান্বিত, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাসহ সকল হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করা এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো এবং চাঁদাবাজি বন্ধের দাবীতে এক বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান, ঢাকা  মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার,কর্মপরিষদ সদস্য  হেদায়েতুল্লাহ,উপস্থিত ছিলেন বাড্ডা থানা আমীর কুতুব উদ্দিন,আ.সবুর ফরহাদ, মাসুদূর রহমান রানা প্রমূখ।

বিক্ষোভ মিছিলটি উত্তর বাড্ডা ওভার ব্রিজের নিচ থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেরুল বাড্ডার ইউলোপের নিচে এসে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়।

সেলিম উদ্দিন বলেন, জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখাত হয়ে শেখ হাসিনা প্রতিবেশী দেশে পলায়ন করলেও তাদের পক্ষ থেকে দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তাদের এ ষড়যন্ত্রে দেশী ও বিদেশী শক্তি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ইন্ধন যোগাচ্ছে। শেখ হাসিনা এবং তাদের এদেশীয় দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করে অর্জিত বিপ্লব ও অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার সুগভীর চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। নানা দাবি দাওয়া নিয়ে তাদের প্রতিভূদের পরিকল্পিতভাবে মাঠে নামিয়ে দেশে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই এদেরকে কঠোর হস্তে দমন করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রয়োজন হলে এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এদের অপকর্ম ও ষড়যন্ত্রকে অবহিত করা দরকার। তিনি পতিত স্বৈরাচারের দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

তিনি বলেন, বিগত ৫৩ বছর জামায়াতে ইসলামী দেশ ও জাতির কল্যাণে বিরামহীনভাবে কাজ করে আসছে। মানুষের মধ্যে মূল্যবোধের সৃষ্টি, আত্মগঠন, চরিত্র সংশোধন সহ মানবীয় উন্নয়নে আমরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা জাতিকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য দেশে প্রভূত সংখ্যক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। জনগণের সেবার জন্য জনহিতকর প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কিন্তু এর বিপরীতে দেশে টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী ও দুর্নীতির মহোৎসব চলেছে। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের মনে রাখা উচিত চাঁদাবাজী ও টেন্ডারবাজীর চেয়ে ভিক্ষাবৃত্তিই উত্তম।

তিনি দেশীয় ও বহিঃশক্তির খবরদারীর কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা কারো ডিকটেশন মেনে চলবো না বরং আমরা নিজেরাই  আমাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো এবং দেশ চালাবো। তিনি দ্রব্যমূল্যের ঊধ্বগতি রোধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান।

আরবি/এসবি

Link copied!