জাতীয় নির্বাচন নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। সর্বশেষ গত সোমবার বিএনপির একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আশ্বস্ত করেছেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। সরকার আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে ‘সর্বকালের সেরা ও ঐতিহাসিক’ করার পরিকল্পনা করছে বলেও জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। নির্বাচন কমিশনও ডিসেম্বরকে লক্ষ্য করেই প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে বেশ স্পষ্ট করেছে।
[34232]
সেই হিসাবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ডিসেম্বর। যত দূর জানা গেছে ৬ ডিসেম্বর হতে পারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ৬ ডিসেম্বর এই নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা হয়েছে। এ সময় নির্বাচন হলে তফসিল হবে অক্টোবরে। সে হিসাবে নির্বাচনের সাইরেন বাজতে এখনো বাকি আট মাস।
যেহেতু হাসিনা সরকার আমলে জনগণ ১৫ বছর ভোট দিতে পারেননি, সে কারণে এবার ভোটের জন্য ভোটার ও সম্ভাব্য প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। দীর্ঘদিন ভোট দিতে না পারার যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে আসতে সবাই আগেভাগে নির্বাচনি প্রচারণায় মাঠে নামতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
[34206]
নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মাঠ দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। পতিত আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকায় বিএনপি ও জামায়াত এখন একে অপরকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছে। বিপ্লবী ছাত্ররাও নতুন দল গঠনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছেন। চলতি মাসের ২১ তারিখ দল ঘোষণার পর তারাও সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিতে পারেন।
সরকারে থাকা উপদেষ্ঠা নাহিদ ইসলাম ও আফিস মাহমুদ পদত্যাগ করে সেই দলে নির্বাচনে অংশ নেবেন বলেও জানা গেছে। এর বাইরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদসহ আরও কিছু দলও সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার চিন্তা করছে। তবে শেষমেশ মাঠে ভোটের লড়াইটা কীকভাবে হবে, কে কার সঙ্গে জোট বাঁধবে, তা জানতে তফসিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
[34049]
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা ফিরেছেন নিজ এলাকায়। সিনিয়র নেতারাও এখন ঘন ঘন যাচ্ছেন নির্বাচনি আসনে। সভা-সমাবেশ ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন তারা। গতকাল বুধবার থেকে ৬৭ সাংগঠনিক জেলায় ধারাবাহিকভাবে সমাবেশ শুরু করেছে বিএনপি। এরপর মহানগর ও বিভাগীয় শহরেও সমাবেশ করবে।