কুয়েটের ঘটনায় হাসনাতকে জড়িয়ে যা বলল ছাত্রদল

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫, ০৮:৩১ পিএম

কুয়েটের ঘটনায় হাসনাতকে জড়িয়ে যা বলল ছাত্রদল

ছবি: সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের নেতৃত্ব দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুয়েট কমিটির আহ্বায়ক মো. ওমর ফারুক এ হামলায় । এ হামলা কেন্দ্র থেকে মনিটরিং করেছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) গেমস রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বয়ান, সংবাদমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন, ছবি ও ভিডিও প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, গতকালের ঘটনার সূত্রপাত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একটি মিছিল থেকে ছাত্রদল সমর্থকের ওপর আতর্কিত হামলার মধ্য দিয়ে। সেই মিছিল থেকেই ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, যখন ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী ক্লাস শেষে মিছিলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন ওমর ফারুকের উসকানিতে ক্ষতিপূরণ মিছিলে অতর্কিত হামলা করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘কুয়েটে যারা হামলা করেছে আমরা তাদের শিবিরের নেতা হিসেবে জানি। যে আহ্বায়ক, তাকে আমরা শিবির নেতা হিসেবে জানি। কুয়েটের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ৭ জানুয়ারি কমিটি দিয়েছে। শিবিরেরও কমিটি রয়েছে।’

গোপন রাজনীতি করে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোকে রাজনৈতিক না করতে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘তিতুমীর কলেজের ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক প্রথমে রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তোলার বিষয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। কিছু দিন পরে ছাত্রশিবিরের কমিটিতে তাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়। এমন কয়েকটি উদাহরণ আমরা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে দেখতে পেয়েছি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এত বোকা না। এভাবে গোপনে রাজনীতি করে অন্য সংগঠনগুলো যেন রাজনীতি করতে না পারে, সে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আমরা শিবিরকে দায়ী করছি।’

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুয়েট কমিটির আহ্বায়ক মো. ওমর ফারুক এ হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। কেন্দ্র থেকে মনিটরিং করেছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। গণঅভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশের যারা আত্মপ্রকাশ করতে ভয় পেয়েছে, সেই শিবির কাল ছাত্রদলের ওপর হামলা চালায়। তাদের নির্যাতনের মাত্রা এতই ছিল যে আহত শিক্ষার্থীরা দোকানে আশ্রয় নিলে দোকানিকেও কথিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী ও শিবির হামলা করে। পরে গ্রামবাসীর সঙ্গে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর ছাত্রদলের নামে এক ধরনের মব তৈরি করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘কথিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা যদি হামলায় অংশ না নিতো, সংঘাত এত বড় হত না। প্রকাশ্যে সবারই রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে। খুলনায় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে চায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বড় বড় যত অগ্নিকাণ্ড হয়েছে, সেগুলো ছোট ছোট শর্টসার্কিট থেকে তৈরি হয়েছে। গতকাল সেই কাজ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশৃঙ্খল মব।’

আরবি/এসবি

Link copied!