ঢাকা শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

বিএনপির পাশে দাঁড়িয়ে ইউনূসের উপর চাপ বাড়াতে চায় জাতীয় পার্টি

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫, ০৭:৪৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদের নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপির পাশে দাঁড়াল জাতীয় পার্টি (জাপা)। প্রয়াত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হুসেন মহম্মদ এরশাদ প্রতিষ্ঠিত দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘সংস্কারের বিষয়ে মতামত জানতে সরকার আমাদের ডাকেনি। সংস্কার প্রসঙ্গে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনাও হয়নি। আমাদের সঙ্গে আলোচনা হলে আমরা এটাই বলব, ‘সংস্কার প্রস্তাবগুলো প্রকাশ করুন। নির্বাচনের পরে যারা সরকার গঠন করবে, তারাই সংস্কার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে’।’’ আনন্দবাজার

এর পরেই কাদেরের মন্তব্য, ‘‘এখনই সংস্কারে হাত না দেওয়াটাই আমাদের সাজেশন (মত)।’’ সেই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা— ‘‘যদি নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ (নিরপেক্ষতা) না থাকে, যদি একতরফা নির্বাচন হয়, তা হলে কারও নির্বাচনে বৈধতা দিতে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে না।’’ বিএনপি নেতৃত্ব গত কয়েক মাসে একাধিক বার একই দাবি তুলেছেন মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে। এ বার সেই দাবিতেই সরকারের উপর চাপ বাড়ালেন জাতীয় পার্টির নেতা।

গত কয়েক মাস ধরে শেখ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশে নির্বাচনের আয়োজন নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিরোধী দলগুলির মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। দ্রুত জাতীয় সংসদের নির্বাচন চেয়ে বিএনপি ক্রমশ অন্তর্বর্তী সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে। অন্য দিকে, জামায়াতে নেতৃত্ব চাইছেন এ ক্ষেত্রে ইউনূসকে ‘প্রয়োজনীয় সময়’ দিতে। খালেদার পুত্র তথা দলের কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি দলের ভার্চুয়াল বৈঠকে বলেন, ‘‘নির্বাচনী ব্যবস্থা যদি ঠিক করতে না পারি, তবে দেশের কোনও কিছুরই সমাধান হবে না। ঝড়, তুফান, বন্যা, খরা, বৃষ্টি যা–ই হোক না কেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হতেই হবে। এর কোনও বিকল্প নেই। এই লক্ষ্যের পথে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে আমরা তাঁদের প্রতিহত করব।’’

গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রীপদে শেখ হাসিনার ইস্তফা এবং ঢাকা ছেড়ে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়ার পরে প্রাথমিক ভাবে ইউনূস সরকারের সঙ্গে বিএনপির সখ্য ছিল। কিন্তু নির্বাচনের জন্য তাগাদা দিয়ে ক্রমশ জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন তারেকরা। রাজনীতি, অর্থনীতি ও প্রশাসনের সার্বিক সংস্কার কর্মসূচির নাম করে ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারে শামিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ভোট পিছিয়ে দিতে চাইছেন বলেও অভিযোগ তুলেছে খালেদার দল। এক ধাপ এগিয়ে বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির প্রধানের মন্তব্য, ‘‘এই সরকার নিরপেক্ষ কি না, তা নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।’’