দীর্ঘ সাত বছর পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাদের বর্ধিত সভা করতে যাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে, জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। দলীয় নেতাদের মতে, এই সভায় প্রাধান্য পাবে তৃণমূল নেতাদের মতামত এবং দলকে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই বৈঠকে সাংগঠনিক কর্মসূচি চূড়ান্ত হতে পারে।
গতবার, ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি, রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে গ্রেপ্তারের আশঙ্কার মধ্যে বিএনপির নির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সহ প্রায় ৮০ শতাংশ নির্বাহী কমিটির সদস্য সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এবার, রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেছে এবং মুক্ত পরিবেশে বিএনপির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় দলীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা, জেলা, মহানগর, থানা, উপজেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, গত নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত থাকবেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের কারণে আমরা আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে পারিনি। তবে ৫ আগস্টের পর সারা দেশে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম বেড়েছে। এই সভায় আমাদের চার হাজার নেতা অংশগ্রহণ করবেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উদ্বোধনী বক্তব্য দেবেন।’
এই সভায় চারটি প্রধান বিষয় গুরুত্ব পাবে, যার মধ্যে রয়েছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতি, দলীয় শৃঙ্খলা এবং মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক। তৃণমূল নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে দলের ভবিষ্যত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘একটি দলের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এমনই, যেখানে মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বর্ধিত সভায় সারা দেশ থেকে আসা নেতারা তাদের মতামত জানাবেন। দলের নেতা-কর্মীদের চিন্তা-ভাবনা সেখানে প্রতিফলিত হবে।’
১৯৯৭ সালের পর এবারই প্রথম বড় পরিসরে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সভা সকাল ১০টা থেকে রাত পর্যন্ত চলবে এবং প্রায় চার হাজার নেতা এতে অংশগ্রহণ করবেন।