ছাত্রদলের টাকার উৎস কী- জানতে চেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম। শুক্রবার (০৭ মার্চ) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এ নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে রিয়াজুল লেখেন, ‘ছাত্রদলের টাকার উৎস কী?’
এই পোস্টটি দেবার কিছু সময় পর আরেকটি পোস্টে ছাত্রশিবিরের আয়ের উৎস গুলো তুলে ধরেন তিনি।
তিনি লেখেন, আমাদের আয়ের উৎস গুলো আমাদের সংবিধানে সুস্পষ্ট করে বলা আছে।
ধারা-৩৬ : সংগঠনের প্রত্যেক স্তরে বায়তুলমাল থাকবে। কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের দান, সংগঠন-প্রকাশনীর মুনাফা এবং শরিয়ত অনুমোদিত অন্যান্য খাতসমূহ থেকে প্রাপ্ত অর্থই হবে বায়তুলমালের আয়ের উৎস।
আমাদের কর্মীরা তাদের টিউশন করা জমানো টাকা ছাত্রকল্যাণ ফান্ডে দান করে। আমাদের মায়েরা তাদের গলার হার আমাদের বিশ্বাস করে দিয়ে দেয়। আমাদের বোনেরা রান্নার মুষ্টি চাল জমা করে আমাদের দিয়ে দেয়।
আমাদের ভাইয়েরা তাদের বেতনের কষ্ট করা টাকা কোনো প্রকার চিন্তা ভাবনা ছাড়াই আমাদের দিয়ে দেয়। আমাদের সব সাবেক ভাইয়েরা আমাদের টাকা দেয়, বিপদের দিনে আমাদের আশ্রয় দেয়।
আমাদের কোনো ব্যক্তিগত আয় নেই কোনো ব্যক্তিগত ব্যায় নেই। আমাদের যা আয় যা ব্যয় সব সংগঠনের জন্য নিবেদিত। যারা আমাদের নিয়ে প্রশ্ন করেন তাদের অনুরোধ করবো বুকে হাত রেখে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলেন আপনার দলের টাকা কোথা থেকে আসে?
প্রসঙ্গত, এদিন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন। নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলার কনফারেন্স কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্ন তোলেন তিনি।
নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা গণমাধ্যমে ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারিকে বলতে শুনেছি তারা প্রতিদিন গণ-ইফতার কর্মসূচিতে ৩ লাখ টাকা ব্যয় করছেন। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, তারা এত টাকা কীভাবে উপার্জন করছেন। তাদের আয়ের উৎস কী? একটি সাধারণ ছাত্র সংগঠন মাসে ৯০ লাখ টাকা কোথায় পাচ্ছে এই তথ্য আমরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে শিবিরের কাছে জানতে চাই।
আপনার মতামত লিখুন :