ঢাকা বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫

ইসলামি রাষ্ট্র হলে নারীদের পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে: শিবির সেক্রেটারি

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৫, ০৮:৫২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

আগামীতে বাংলাদেশ ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে নারীদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। 
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় জবি ছাত্রশিবির শাখা আয়োজিত ইফতার মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।  

শিবির সেক্রেটারি বলেন, ‘নারীদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে যেখানে নারী শিক্ষক ও নারী প্রশাসন থাকবে এবং নারীরাই সেই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবে। এতে তাদের নিরাপত্তা ও সম্মান নিশ্চিত হবে।’

এছাড়া ইসলামি নীতিমালা প্রতিষ্ঠিত হলে নারীরা চাকরিসহ সব ক্ষেত্রে নিরাপদে ও স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ইসলাম নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। তবে ইসলাম নারী-পুরুষ উভয়ের শালীনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে। ইসলামি নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে নারীরা চাকরিসহ সকল ক্ষেত্রে নিরাপদ থাকবে। ইসলামের কোনো মতবাদ নারীদের ঘরে বন্দি রাখার কথা বলেনি।’

নারী নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে নারীরা প্রতিনিয়ত নিপীড়নের শিকার হচ্ছে, তাদের সম্মানহানি হচ্ছে।

‘যারা নারী ক্ষমতায়নের কথা বলে, সেই পশ্চিমা দেশগুলোতেই এসব ঘটনা বেশি ঘটছে। সেখানে নারীরা কেবল বিনোদনের বস্তু হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে, ইসলামিক দেশগুলোতে ধর্ষণের হার প্রায় শূন্য, কারণ সেখানে নারীদের যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া হয়।’

শিবির সেক্রেটারি আরও বলেন, ‘আমরা চাই না নারীরা বিনোদনের সামগ্রী হয়ে উঠুক; বরং আমরা তাদের প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে চাই। ইসলামি নিয়ম-নীতির বিষয়ে নারীদের মধ্যে কিছু ভুল ধারণা থাকতে পারে, কিন্তু বাস্তবে ইসলামই একমাত্র মতবাদ, যা নারীদের যথাযথ সম্মান দিয়েছে।’