ঢাকা রবিবার, ০৯ মার্চ, ২০২৫

সমন্বয়ক পরিচয়ে অন্যায় করলে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ হাসনাতের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের ভ্যানগার্ড হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে ব্যানার রয়েছে, তা পৃথিবীর অনেক দেশেই গণঅভ্যুত্থানের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে এবং টিকে আছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি অরাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। এটি ফ্যাসিবাদবিরোধী ভূমিকা পালন করবে এবং গণহত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে কুমিল্লার দেবিদ্বারে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে ইফতার মাহফিল শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি যে সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ বিশেষ সুবিধার দাবি করতে পারবে না। বরং যারা আন্দোলনে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেছেন এবং আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছেন, তারা ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে যেসব ষড়যন্ত্র চলছিল, তা প্রতিরোধেও তারা অবদান রেখেছেন। সমন্বয়ক পরিচয় ব্যবহার করে কেউ যদি কোনো ধরনের অন্যায় ও আইনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়ায়, তবে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ থাকবে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি এমন নয় যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টিতেই যোগ দিতে হবে। যে কেউ চাইলে তাদের পছন্দের রাজনৈতিক দলে যেতে পারে। কেউ যদি ছাত্র সংগঠনে যোগ দিতে চায়, বাংলাদেশে অনেক ছাত্র সংগঠন রয়েছে, যেখানে তারা যোগ দিতে পারে। সম্প্রতি নতুন একটি ছাত্র সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ গঠিত হয়েছে, চাইলে সেখানে যোগ দিতে পারে। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনেও যেতে পারে। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারটি অবশ্যই কার্যকর থাকবে এবং ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান রোধ, গণহত্যার বিচার এবং আহত ও শহীদদের স্মরণে কাজ করবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ৫ আগস্ট পূর্ববর্তী ফ্যাসিবাদী শক্তি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করেছিল এবং রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য তাদের কাজে লাগিয়েছিল। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, যদি তারা মনে করেন আমাদের সহায়তা প্রয়োজন, তাহলে আমরা সহায়তা করতে প্রস্তুত। তবে তারা যদি মনে করেন যে আবার ফ্যাসিবাদ কিংবা আওয়ামী লীগ শাসন ফিরে আসবে, তা সম্ভব নয়। পুরনো মডেলের পুলিশিং আর বাংলাদেশে সম্ভব নয়। জনগণ যে ধরনের পুলিশিং চায়, আমরা চাইব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই অনুযায়ী ভূমিকা রাখবে। আশা করি, আপনারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারে সক্রিয় থাকবেন এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন।

এ সময় দেবিদ্বার উপজেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।