দ্রুত ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান।
রোববার (৯ মার্চ) হেফাজতের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর সই করা এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ধর্ষকদের প্রকাশ্য শাস্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা বলেন, অতিদ্রুত ধর্ষকদের প্রকাশ্যে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ইসলামে ধর্ষণের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘তাদের শাস্তি দিতে যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয় এবং মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে’ (সূরা নুর, আয়াত-২)। রাসুল (সা.)-এর যুগে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এই বিধান বাস্তবায়ন করলে সমাজে অপরাধপ্রবণতা কমবে এবং মানুষ এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবে।
হেফাজত নেতারা বলেন, বন্দি স্বামীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করা সাবেক র্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনেরও প্রকাশ্য শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ওই নারীর মৃত্যু বিচারহীনতার করুণ পরিণতি। দীর্ঘদিনের বিচারহীনতা ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধকে বাড়িয়ে তুলছে। তাই ধর্ষণ বন্ধ করতে হলে দ্রুত প্রকাশ্য বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
হেফাজত নেতারা আরও বলেন, নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ বিচারহীনতা। গৃহকর্মী কিশোরীকে নিপীড়ন করে হত্যা করার পরও এক গণমাধ্যমের নির্বাহী বিনা বিচারে জামিন পেয়েছেন। এভাবে দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আইনগুলোর সংস্কার না হওয়ায় ধর্ষণের সুষ্ঠু বিচার সম্ভব হচ্ছে না।
তারা বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি সভ্য সমাজের জন্য কলঙ্কজনক। তাই ইসলামের ন্যায়বিচারের আলোকে আইন ও বিচারব্যবস্থাকে ঢেলে সাজালে সমাজ ধর্ষণসহ অন্যান্য অপরাধ থেকে মুক্তি পাবে এবং নারী ও শিশুদের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।
আপনার মতামত লিখুন :