ভারতের অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক বীণা সিক্রির জামায়াত সম্পর্কে দেওয়া মন্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যাচার বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
সোমবার (১০ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বীণা সিক্রি সম্প্রতি ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে জামায়াত সম্পর্কে যে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন, আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তার বক্তব্যের মধ্যে সত্যের লেশমাত্র নেই। তিনি জামায়াত সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ।
গোলাম পরওয়ার বলেন, তিনি জামায়াতকে আইএসআইর বাহক হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং দলটিকে পাকিস্তানের প্রভাবের মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কাল্পনিক। জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যেই এমন বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করা হয়েছে।
বীণা সিক্রির আরেকটি দাবি, জামায়াত বাংলাদেশের সংবিধানকে সর্বোচ্চ দলিল হিসেবে স্বীকার করে না।" এর প্রতিক্রিয়ায় পরওয়ার বলেন, "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পন্থায় রাজনীতি করছে। জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ বাংলাদেশের সংবিধান মেনে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। এখনো জামায়াত সংবিধান মেনেই রাজনীতি করছে।
বীণা সিক্রি তার বক্তব্যে দাবি করেছেন, "ইসলামী ছাত্রশিবির অস্ত্র লুট করেছিল এবং এসব অস্ত্র এখনো ব্যক্তিগত হাতে রয়েছে। এর জবাবে পরওয়ার বলেন, "ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা কোনো থানায় অগ্নিসংযোগ করে অস্ত্র লুট করেনি। কাজেই তাদের হাতে অস্ত্র থাকার প্রশ্নই আসে না।
তিনি আরও বলেন, কোনো দেশের রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠন সম্পর্কে অসত্য ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করা একজন কূটনীতিকের জন্য সমীচীন নয়। আমরা আশা করি, ভারতের সাবেক কূটনীতিক বীণা সিক্রি ভবিষ্যতে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন এবং জামায়াত ও ছাত্রশিবির সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রচারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করবেন।