রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে চেয়ে গত ৬ মার্চ পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশ পাঠিয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এসব সুপারিশের বিষয়ে মতামত দিতে ১৩ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এখনই এ ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান জানাতে আগ্রহী নয়। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি, বিএনপির মিত্র ১২ দলীয় জোট, বাম জোটসহ বেশকিছু রাজনৈতিক দল এখনো মতামত দেয়নি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সুপারিশগুলো ছক আকারে মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চেন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে পাঠিয়েছিল। এতে ‘টিকচিহ্ন’ দিয়ে ১২০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়। সুপারিশের বিষয়ে ‘একমত’, ‘একমত নই’ ও ‘আংশিক একমত’—এই তিনটি বিকল্প রাখা হয়। এছাড়া, বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারণের জন্য ছয়টি বিকল্প এবং মন্তব্যের জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছিল।
তবে, বিএনপি এই পদ্ধতিতে মতামত দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। দলটি জানিয়েছে, সংস্কার বিষয়ে তাদের বিস্তারিত মতামত পরে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদসহ বেশকিছু রাজনৈতিক দল নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মতামত জমা দেয়নি। তাদের মধ্যে কিছু দল আরও সময় চেয়ে আবেদন করেছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলো যত দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছবে, তত দ্রুত জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে। এর ভিত্তিতে একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা হতে পারে। এছাড়া, গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর বিষয়ে নাগরিকদের মতামত নেওয়ার ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ।
আপনার মতামত লিখুন :