বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই কারণে তার কমপক্ষে ৫৭ বার ফাঁসি হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে যশোর শহরের একটি হোটেলে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী ও তার দোসরদের গণহত্যার বিচার হচ্ছে। এতেও খুনি হাসিনার ফাঁসি হবে। সব লুটতরাজের বিচার এই মাটিতে হবে। ফলে হাসিনার আর কখনও ফিরে আসার আর কোনো সুযোগ নেই। তিনি আর দেশে আসতে পারবেন না। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আসছেন। তাদের নেতৃত্বে এই দেশটাকে গড়ে তোলা হবে।
আমানুল্লাহ আমান বলেন, ১৬ বছর আমরা ইলিয়াস আলী, সুমনসহ অনেককে হারিয়েছি। হাসিনার শাসনামল ছিল নির্যাতন, হত্যা, গুমের কাল। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের কাল। আমরা গুম হওয়া সব নেতাকর্মীকে ফেরত চাই।
দেশ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে মন্তব্য করে আমান বলেন, ১৬ বছরের দীর্ঘ আন্দোলন আর ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন দেশ পেয়েছি। ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গেলেও ষড়যন্ত্র চলছে, চলবে। সেই কারণে বিএনপি নেতাকর্মীদের সচেতন, সজাগ, সতর্ক থাকতে হবে।
বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের ছয় জেলার শীর্ষ নেতারা এই মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। এছাড়া যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন আসনে বিগত সময়ে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া নেতা এবং সাবেক এমপিরা এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্তকুমার কুণ্ডুর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবকদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক প্রকৌশলী টিএস আইয়ুব এবং ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মো. ইয়াহইয়া।
বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।