হত্যা, ধর্ষণ, নিপীড়নের বিচার এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণের দাবিতে গণমিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে আটটি সংগঠন।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)-এর কার্যালয়কে ‘ছাত্র-জনতার কার্যালয়’ বানানোর ডাক দেন লেখক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য। যার পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও লক্ষ্য করা গেছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ‘মুক্তি ভবন’-এর সামনে গিয়ে দেখা গেছে, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিপিবির কার্যালয়ে হামলা হতে পারে—এমন আশঙ্কায় সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক ডা. সাজেদুল হক রুবেল বলেন, দেশব্যাপী ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন চলছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জেলা, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবাদ হচ্ছে। আমরা কমিউনিস্ট পার্টি শুক্রবারও ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ কমিটির প্রতিবাদ সমাবেশ করেছি। তার অংশ হিসেবে আজকের কর্মসূচির ডাক দিয়েছে দেশের পনেরোটি বাম ও গণতান্ত্রিক ছাত্র ও যুব সংগঠন। যেমন আমরা ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলন, স্বৈরতন্ত্রবিরোধী আন্দোলনে যেভাবে অংশগ্রহণ করেছি, আজকেও সেভাবে অংশ নেব।
তিনি বলেন, আজকের কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, উদীচী শিল্পগোষ্ঠী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জাসদ (আম্বিয়া অংশ)-এর ছাত্র সংগঠন বিএসএলসহ অন্যান্য সংগঠন। এই কর্মসূচিকে ঘিরে নানা রকম প্রশ্ন ও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই দেখা যাচ্ছে দেশের বাইরে থেকে একজন ইউটিউব ইনফ্লুয়েন্সার সিপিবির অফিস দখল ও ভাঙচুরের ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা শেখ হাসিনার আমলে আগস্ট মাসেও এ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছি। শুধু তাই নয়, আরও বহুবার আমাদের অফিস আক্রমণের শিকার হয়েছে। ২০১৩ সালে হাসিনার আমলে আমাদের পার্টি অফিস পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। তখনো আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। ছাই থেকে ফিনিক্স পাখির মতো উঠে দাঁড়িয়েছি। আমরা কমিউনিস্টরা সব ধরনের স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছিলাম, আছি এবং থাকব।
আপনার মতামত লিখুন :