গেল সপ্তাহে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সাক্ষাৎ করতে এলে দলের মহিলা নেত্রীদের প্রকাশ্যে আনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
এবার তাদের রাজপথে নামাল দলটি।
শনিবার (১৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে জামায়াতের মহিলা বিভাগ।
ওইদিন মহিলা নেত্রীদের প্রকাশ্যে আনলেও তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
তবে এবার শুধু নেত্রীরা প্রকাশ্যেই আসেননি, দিয়েছেন স্লোগানও। বক্তব্যও দেন নাম প্রকাশ করে।
ধর্ষণ বিরুদ্ধে ৫ দাবি এবং শিশু আছিয়াকে পাশবিক নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার প্রতিবাদে এই মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।
এতে জামায়াতের মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক নুরন্নিসা সিদ্দিকা, সহকারী সেক্রেটারী সাঈদা রুম্মান, মার্জিয়া বেগম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য এডভোকেট সাবিকুন্নাহার মুন্নী, নাজমুন্নাহার নীল, রোজিনা আখতার, আয়েশা সিদ্দিকা পারভীন, সালমা সুলতানা, ইরানি আখতার, মাহবুবা জাহান, খোন্দকার আয়েশা সিদ্দিকা, সুফিয়া জামালসহ ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের দায়িত্বশীল নেতারা বক্তব্য দেন।
‘বেঁচে থাকা ও নিরাপত্তার অধিকার দাও’, ‘ধর্ষকদের প্রকাশ্য জনসম্মুখে ফাঁসি চাই, দিতে হবে’, ‘ধর্ষণ মামলা ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি কর, করতে হবে’, ‘ধর্ষণ মামলায় জামিন বিধান বাতিল কর, করতে হবে’, ‘ধর্ষণ মামলায় এক বিধান, এক শাস্তি; ধর্ষককে ফাঁসি দিবি, দিতে হবে’- সহ নানান স্লোগান তুলে মানববন্ধনে থেকে সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হয়।
দাবি জানানো হয়, ধর্ষণ মামলায় কারাদণ্ডের বিধান বাতিল করে শুধু মৃত্যুদণ্ডের বিধান এবং ৯০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি বাস্তবায়নের।
মানববন্ধনে মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক নুরন্নিসা সিদ্দিকা বলেন, ‘আছিয়া হত্যা মামলার রায় এক সপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে এবং আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। সব ধর্ষককে ফাঁসি দিতে হবে।’
ধর্ষককে জনসম্মুখে ফাঁসি দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন অধ্যাপক নুরুন্নিসা। তিনি বলেন, ‘এতে করে পরবর্তী সময়ে কেউ ধর্ষণের অপরাধ করার সাহস পাবে না।’
তিনি বলেন, ‘শিশু আছিয়া ধর্ষণে জড়িতদের সরকারের ঘোষণা ও আমাদের ৫ দাবির আলোকে বিচার করতে হবে। নইলে নারী সমাজ কঠোর আন্দোলনে রাজপথে নেমে আসবে।’
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য এডভোকেট সাবিকুন্নাহার মুন্নী বলেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কারের আগে মানুষের নৈতিকতার সংস্কার জরুরি। রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কার জরুরি। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অপরাধীরা বেরিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে না আসলে রাষ্ট্র সংস্কারের সুফল পাওয়া যাবে না।’
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য নাজমুন্নাহার নীল বলেন, ‘সমাজে মূল্যবোধ আর নৈতিকতার অভাব। তাই আমরা আর নীরব থাকতে পারি না। শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিকতার কোনও উপাদান নাই। শিক্ষা ব্যবস্থায় ধস নামার কারণেই সমাজের আজ করুন পরিণতি। আইন ও শালিস কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী বিগত ১০ বছরে সাড়ে ৩ হাজার শিশু ধর্ষনের মামলা হলেও একটি মামলারও বিচার হয়নি।’
আপনার মতামত লিখুন :