সরকারের কথাবার্তায় জনমনে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে: রিজভী

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৫, ০৯:৪৭ পিএম

সরকারের কথাবার্তায় জনমনে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে: রিজভী

রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে সাংবাদিকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী- ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কথাবার্তায় মানুষের মধ্যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

তিনি এও বলেন, ‘মানুষ মনে করছে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে একটা তামাশা তৈরি হচ্ছে কিনা।’

শনিবার(১৫ মার্চ) রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের সম্মানে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।

রিজভী বলেন, ‘১৬ বছর ধরে যে ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি সেই ভোটারদেরকে বঞ্চিত করার আবার কোন নীল নকশা হচ্ছে কিনা এই ধরনের শঙ্কা এই ধরনের আশঙ্কা মানুষের মধ্যে তৈরি হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন,‍‍`কাজ এখনো শেষ হয়নি?এখনো কেন গড়িমসি কদিন আগে না নিশ্চিত করে বললেন যে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলেছেন।আবার আজকে খবরের কাগজে পড়লাম এটা জুনেও হতে পারে সেখানে বলেছেন যদি স্বল্প মেয়াদী সংস্কার চান তাহলে ডিসেম্বরে আর যদি দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার চান তাহলে জুনে এই কথাগুলো সরকারের পক্ষ থেকে বলে ধোঁয়াশা তৈরি করা হচ্ছে কেন?এটা আজকে জনগণের জিজ্ঞাসা।’

 

বিএনপির এই মুখপাত্র প্রশ্ন রেখে বলেন,‘সংস্কারের আবার স্বল্প মেয়াদী কি?দীর্ঘমেয়াদি কি?সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া আজকে আপনি যেটি সংস্কার করছেন সেটি ৫০ বছর পর সেটার আবার সংস্কার হতে পারে।২০ বছর পর আবার সেটি বাতিল হতে পারে নতুন সংস্কার আসতে পারে।তাহলে এই কথাগুলো আসছে কেন?স্বল্প মেয়াদী সংস্কার হলে ডিসেম্বরে দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার হলে জুনে নির্বাচন হবে।এই কথাগুলোর মধ্য দিয়েও তো একটা ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে।’

রিজভী বলেন,‘ইউরোপে ডাইনি শিকার বলে একটি কথা ছিল এটা আইন করে করা হয়েছিল কিছু মেয়েদেরকে ডাইনি বলে পুড়িয়ে হত্যা করা হতো অত্যন্ত অমানবিক এই প্রথা ১৭৩৫ সালে সেটি রদ করা হলো সুতরাং আজকের যে সংস্কার এটা যে চিরস্থায়ী হবে এমন কোন কথা নয় এটি ৪০ বছর পর আবার ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে আবার নতুন কোন সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে।সংস্কার প্রবাহমান,চলমান সেখানে স্বল্প মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী বললে এটাই যে আপনার চূড়ান্ত তা তো নয় সুতরাং এই সমস্ত কথা বলে জনমণে সরকার যদি কোন ধোঁয়াশা তৈরি করেন তাহলে সরকারের প্রতি মানুষের একটা বড় ধরনের অনাস্থা তৈরি হবে।কারন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে তাদের কাছে জনগণ এটা প্রত্যাশা করে না।’

এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী আমলে সাংবাদিকদের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।

যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী  কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশারফ হোসেন,যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ। এসময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরবি/ফিজ

Link copied!