মানবিক বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে জামায়াত : মাসুদ

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৫, ০৪:২৯ পিএম

মানবিক বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে জামায়াত : মাসুদ

ছবি, সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামী মানবিক বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুর ইসলাম মাসুদ বলেছেন, মানবিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য প্রথমে মানবিক মানুষ তৈরি করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সেই মানবিক মানুষ তৈরির কাজ করছে। গতকাল রোববার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বাউফল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ইফতার মাহফিলে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুর ইসলাম মাসুদ বলেন, জামায়াতে ইসলামীতে রয়েছে অসংখ্য নৈতিক ও মানবিক নেতৃত্ব। নৈতিকতার অভাবে মানুষ অপকর্মে লিপ্ত হয়। ফলে সমাজে অশান্তি বিরাজ করে। যার কারণেই আজ শিশু-কিশোরী বয়োবৃদ্ধ নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ছাত্রলীগ নেতা ধর্ষণের সেঞ্চুরি করে মিষ্টি বিতরণ করার পরও আওয়ামী লীগ সরকারে থেকে সেই বিচার না করার কারণে সারা দেশে ধর্ষণের মতো ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ ধর্ষণের বিচার না করে তারা ধর্ষণ সমর্থন করে তারই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা উই ওয়ান্ট জাস্টিস (ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার) দাবিতে জীবন ও রক্ত দিয়েছে। তাদের জীবন ও রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবেই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। বিগত ৫৪ বছরে মানুষের তৈরি আইনে বাংলাদেশ পরিচালিত হওয়ায় সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়নি, বৈষম্য দূর হয়নি। বরং বৈষম্য সৃষ্টি করে ক্ষমতাসীনরা দুর্নীতি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, লুটপাট, বিদেশে অর্থ পাচারে লিপ্ত ছিল। স্বজনপ্রীতি ও দলীয় বিবেচনায় কোনো অপরাধীর বিচার করেনি। এতে স্পষ্ট মানুষের তৈরি আইনে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি, হবে না।

ড. মাসুদ উপস্থিত বাউফলবাসীর উদ্দেশে বলেন, বিগত সময় বাউফল ছিল এক নেতা, এক দলের মুষ্ঠিতে। কারণ মানুষের তৈরি আইনে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছে। আগামীতেও মানুষের তৈরি আইনের পক্ষে ভোট দিলে, জনগণ এক নেতা, একদলের মুষ্ঠিতে বন্দি থাকতে হবে। তারা জনগণকে শোষণ করবে আওয়ামী লীগের চেয়েও ভয়ংকরভাবে। যার দৃশ্য ইতোমধ্যে সারা দেশে দেখা যাচ্ছে। তাই নতুন বাংলাদেশ কুরআনের আইনে পরিচালিত হলে মানুষ তার অধিকার ও মর্যাদা লাভ করবে।

ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে ‘কাঙ্ক্ষিত বাউফল, প্রত্যাশিত নেতৃত্ব’ স্লোগানে বাউফলের প্রতিটি মানুষ এলাকার উন্নয়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবে, রাখতে পারবে। রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণ করবে বাউফলের সাড়ে চার লাখ জনসাধারণ। কোনো একক নেতৃত্ব বাউফলে প্রতিষ্ঠা হতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

নুরে মোহাম্মদীয় (স.) হাফিজিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ লোকমান হাকীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ শায়খ জামাল উদ্দিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের সাবেক ডিআইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে বাউফল ফাউন্ডেশনের সদস্যরা ছাড়াও দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ও বাউফলের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!