রমজানের শেষ ১০ দিনে ইতিকাফে বসেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার (২২ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির প্রচার বিভাগ।
আরবি শাওয়াল মাসের চাঁদ (ঈদুল ফিতরের চাঁদ) দেখা পর্যন্ত তিনি ইতিকাফে থাকবেন। রোজা ২৯টি হলে ৩০ তারিখ পর্যন্ত আর রোজা ৩০টি হলে ৩১ তারিখ পর্যন্ত ইতিকাফে থাকবেন তিনি।
মুসলিম উম্মাহ রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর প্রাপ্তির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য ইতেকাফে বসেন। কারণ, আগের সব নবি-রাসুলগণ ও তাদের উম্মতগণ শ’বছর/হাজার বছর হায়াত (জীবন) পেয়েছেন। তারা বছরের পর বছর আল্লাহ ইবাদাত-বন্দেগিতে কাটাতেন। সে হিসেবে আল্লাহ তা` আলা আমাদের দিয়েছেন সল্প আয়ুষ্কাল।
কিন্তু আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুহাম্মাদির জন্য দান করেছেন মহিমান্বিত লাইলাতুল কদর। এ লাইলাতুল কদর তথা এক রাতকে কোরআনে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলে ঘোষণা করেছেন। যা রমজানের শেষ দশকের যে কোনো এক রাতকে ‘লাইলাতুল কদর’ হিসেবে গণ্য করা হয়।
ইতিকাফে বসার অর্থই হচ্ছে, রমজানের শেষ দশ দিন মসজিদে অবস্থান করা এবং এই দিনগুলোকে আল্লাহর জিকিরের জন্য নির্দিষ্ট করা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়ার জীবনে রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ করে গেছেন। (বুখারি, মুসলিম)
ইসলামের বিধান অনুযায়ী পবিত্র রমজানের ২০ তারিখ থেকে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা পর্যন্ত সময়কালকে ইতিকাফের জন্য ধরা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :