ঢাকা রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫

আওয়ামী লীগের রাজনীতি চলবে না: আখতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৫, ০৫:৪৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নাম, প্রতীক ও আদর্শের কোনো রাজনীতি বাংলাদেশে আর চলবে না। শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে স্বনামে রাজনীতি করতে বা পুনর্বাসিত হতে দেওয়া হবে না।

শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল, কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণ এবং দ্রুত বিচারের দাবিতে এনসিপির সমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

আখতার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগের বিদায় কোনো শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় হয়নি। হাজারো মানুষের জীবন ও রাজপথ ভরা রক্তের বিনিময়ে খুনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতন ঘটেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবার এ দেশের মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। সাম্য ও মানবিক মর্যাদার জন্য যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, তার পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রের বদলে বাকশাল কায়েম করেছিল। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘদিন যুদ্ধ করেছে, অথচ আওয়ামী লীগ ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের নামে কলঙ্কজনক অধ্যায় তৈরি করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল।’

বাংলাদেশের জনগণ তাদের জীবন দিয়ে আওয়ামী লীগের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে আখতার বলেন, ‘আমাদের ভাইয়েরা রাজপথে তাদের জীবন দিয়ে ফ্যাসিবাদকে বিদায় জানিয়েছে। আমরা আমাদের চোখের সামনে আমাদের ভাইদের জীবন উৎসর্গ করতে দেখেছি। তাদের রক্তের শপথ—আমাদের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতেও আওয়ামী লীগকে আর স্বনামে রাজনীতি করতে দেব না। পুনর্বাসিতও হতে দেব না।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সাত মাসেও সরকার আওয়ামী লীগের বিচারের কোনো উদ্যোগ নিতে পারেনি। অবিলম্বে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে এবং নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। অন্যথায় ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমে এর নিবন্ধন বাতিল করবেই।’

আওয়ামী লীগে কোনো ভালো নেতৃত্ব নেই উল্লেখ করে আখতার বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি বা শক্তি আওয়ামী লীগকে পুনরায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করলে তা সর্বাত্মক প্রতিরোধ করা হবে। আওয়ামী লীগের নাম, প্রতীক ও আদর্শের কোনো রাজনীতি আর চলবে না, এই নিশ্চয়তা দিতে হবে। আগামী জুলাই চার্টারে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।’