গণঅধিকার পরিষদের গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের যেকোনো সংকটে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থেকেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানেও সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। বর্তমানে একটি চক্র দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে জনগণের বিপক্ষে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না।’
শনিবার (২২ মার্চ) গণঅধিকার পরিষদ গোপালগঞ্জ জেলার উদ্যোগে এক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আবু হানিফ বলেন, ‘বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে। দেশপ্রেমিক সকল নাগরিককে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সকল রাজনৈতিক দল যে ঐক্যবদ্ধ ছিল, তা এখন আর নেই। নিজেদের স্বার্থের কারণে বিভক্ত হয়ে পড়েছি আমরা। এই বিভক্তি যদি চলতে থাকে, তবে পরাজিত শক্তি সুযোগ নিতে পারে। তাই যেকোনো মূল্যে আমাদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে।’
আবু হানিফ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, ‘অনেকে গুজব ছড়াচ্ছে যে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবে। আমি তাদের বলতে চাই, এটি দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়। আওয়ামী লীগের ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। যদি তা থাকতো, তবে তারা দেশ থেকে পালাতো না। আওয়ামী লীগ ক্লিনিক্যালি মৃত, তাদের ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা চালিয়েছিল, তার বিচার হবেই। জাতিসংঘের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। তাদের বিচার হবে, এমনকি দল হিসেবে আওয়ামী লীগেরও বিচার হতে হবে।’
তিনি আরও দাবি করেন, ‘আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থান করছে এবং সেখান থেকে গুজব ছড়াচ্ছে, উসকানি দিচ্ছে। বাংলাদেশে তাদের আর রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। আওয়ামী লীগ চাইলে ভারতে রাজনীতি করতে পারে, কারণ তারা বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে।’
ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদ, গোপালগঞ্জ জেলার সভাপতি আল আমিন সরদার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ শেখ। আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদ গোপালগঞ্জ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাআদ শিকদার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গোপালগঞ্জ জেলার সভাপতি তসলিম হোসাইন শিকদার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের জেলা সেক্রেটারি আল আসুদ খান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল গোপালগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান পলাশ, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি জসিম উদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদ কাশিয়ানী উপজেলার সদস্য সচিব ডাঃ আহমেদ আলী, গণঅধিকার পরিষদ মুকসুদপুর উপজেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আলী, গণঅধিকার পরিষদ টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সভাপতি ডাঃ সাহেদ আলম এবং বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ মুনায়েম প্রমুখ।
