সেনাপ্রধানের সাথে বৈঠক নিয়ে ফেসবুকে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে দলটির নেতাকর্মীদের কপালে। সমন্বয়হীনতায় ভুগছেন অনেকে। ফলে ফুটে উঠছে জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের সমন্বয়হীনতা।
কেউ বলছেন, এটা তাদের ‘ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা অর্জনের রাজনীতি’। আবার কেউ বলছেন, ‘এমন কাণ্ডে এনসিপি হাস্যরসে পরিণত হচ্ছে’।
গেল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ফেসবুক পেজে লিখেন, গত ১১ মার্চ তিনিসহ দুজনকে ক্যান্টনমেন্টে ডেকে নিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
হাসনাতের এমন পোস্টের পরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। এমনকি গত তিন দিন ধরে বিষয়টি নিয়ে দলীয় ফোরামের ভেতরেও চলছে নানা আলোচনা।
এর মধ্যেই আজ রোববার (২৩ মার্চ) হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্যের সাথে বেশকিছুটা দ্বিমত পোষণ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলম। স্ট্যাটাসে এতটা গোপনীয় বৈঠকের কথাবার্তা যেভাবে ফেসবুকে এসেছে তা সমীচীন হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সারজিসের এই পোস্টের কমেন্টের ঘরে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ লিখেন, দুজনের মধ্যে একজন মিথ্যা বলছেন, এটা চলতে পারে না। মানুষ এনসিপিকে নিয়ে যখন স্বপ্ন বুনছে, তখন এভাবে এনসিপিকে বিতর্কিত করা কাদের এজেন্ডা!
অন্যদিকে এক ইফতার মাহফিলে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেছেন, হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আসা উচিত হয়নি। এটাকে শিষ্টাচার বর্জিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এদিকে এনসিপি নেতাদের হুটহাট এমন পোস্ট নিয়ে আলোচনা চলছে সর্বত্র। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনীতির মারপ্যাঁচে পরে এনসিপির নেতাদের ঐক্যে ফাটল শুরু হয়েছে!