শেখ পরিবার বা আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা গত ১৫ বছরে যেসব স্থানে তাদের নামে নামফলক স্থাপন করেছেন, সেগুলো অপসারণ করা উচিত। কারণ তারা গণহত্যাকারী এবং দেশদ্রোহী। এসব কথা বলেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।
সোমবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর মগবাজারে এলডিপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তার মতে, গণহত্যাকারী ও দেশদ্রোহীদের নাম দেশের কোনো জায়গায় থাকা উচিত নয় এবং এসব নাম প্রতিটি জায়গা থেকে মুছে ফেলতে হবে।
কর্নেল অলি আহমদ আরও বলেন, সরকারি অফিসগুলো থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানোর নির্দেশ দেওয়া উচিত।
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘৮ মাস হয়ে গেল তারপরও কেন সরকারি অফিসে শেখ মুজিবের ছবি রাখা হচ্ছে?’ এছাড়া, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বাদ দিয়ে জনগণের অর্থ সাশ্রয় করার দাবি জানান তিনি।
কর্নেল অলি আরও বলেন, সরকারি গাড়ির অপব্যবহার রোধে প্রতিটি গাড়ির নেমপ্লেট লাল রঙের করা উচিত। এর মাধ্যমে জনগণের টাকার অপচয় কমানো সম্ভব হবে। সরকারি ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানে গাড়ির সংখ্যা, ব্যবহারকারী এবং তাদের হিসাব-নিকাশ করার জন্য একটি ডাটাবেজ তৈরি করা প্রয়োজন।
এছাড়া, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনগুলোর ফুটপাত এবং রাস্তার ওপর বসানো অস্থায়ী দোকানপাট বন্ধ করার কথা বলেন তিনি।
তিনি দাবি করেন, এসব ব্যবসার পেছনে যারা রয়েছে, তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও গুন্ডামি বন্ধ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য কার্যক্রম অনলাইনে করা উচিত এবং ইঞ্জিনিয়ারদের অফিসে কাউকে যেতে না দেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত।
এ সময় তিনি দেশে কমপক্ষে ২-৩টি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন, যেখানে সুলভমূল্যে সকল ধরণের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে এবং তা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এর ফলে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার প্রবণতা কমে যাবে। আপাতত, পিজি হাসপাতালে সকলের জন্য চিকিৎসা সেবা উন্মুক্ত করা যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামূল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, অধ্যক্ষ কে কিউ সাকলায়েন, অধ্যাপক ওমর ফারুক, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান এবং যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি।