জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে জনগণ শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য রাজপথে নামেনি। নির্বাচনের জন্য নামলে ২০২৩ সালেও নামতে পারতো। বরং তারা একটি বৈষম্যহীন সমাজের দাবি ও ছাত্রদের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। এসব কথা বলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উমামা ফাতেমা বলেন, ‘প্রথম দিকে ছাত্ররা শুধু কোটার দাবিতে রাজপথে নেমেছিল, কিন্তু পরে তারা যখন বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলেছিল, তখনই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। এই দাবির ভিত্তিতেই আবু সাঈদ গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় মারা যান। ছাত্ররা যখন নিজেদের অধিকার ও ন্যায্য দাবির জন্য জীবন দিয়েছে, তখনই জনগণ তাদের পাশে দাঁড়ায়।’
তিনি বলেন, ‘যে ছাত্রটি মারা গেল, সে হয়তো বিসিএস পরীক্ষা দিতে চেয়েছিল বা তার প্রতিবেশী সন্তান ছিল, যে তার জীবন দিয়ে এই আন্দোলনকে সমর্থন দিয়েছে। জনগণ তাদের পক্ষে রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কারণ তারা বুঝতে পেরেছে, ছাত্ররা সৎ এবং তাদের চাওয়াটা ন্যায্য।’
উমামা ফাতেমা বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এখনকার রাজনৈতিক দলগুলোকে বুঝতে হবে যে জনগণ ২০২৪ সালে আন্দোলনে নেমেছিল, তারা শুধু নির্বাচনের জন্য নয়, বরং একটি ন্যায্য, বৈষম্যহীন সমাজের জন্য। যদি তারা নির্বাচনের জন্য রাজপথে নামতো, তবে তারা ২০২৩ সালেও নামতে পারত।’
আপনার মতামত লিখুন :