ঢাকা বুধবার, ০২ এপ্রিল, ২০২৫

নির্বাচন বিলম্বিত হলে দেশে অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। এ জন্য দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে দলটি। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খানের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি দেশব্যাপী অস্থিরতা ও জনগণের ক্ষোভের আশঙ্কা করছে, যদি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হয়। সম্প্রতি বর্তমান সরকারপ্রধান ২০২৬ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার কথা জানানোর পর বিএনপির পক্ষ থেকে এমন সতর্কবার্তা এসেছে।

গত বছর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর আন্দোলনকারীদের সমর্থনে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। ১৭৩ মিলিয়ন জনগোষ্ঠীর দেশ বাংলাদেশ ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে এই সরকারের অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছে। নতুন সরকার গঠনের পর থেকেই ছাত্র-জনতা সর্বক্ষেত্রে সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও সেই দাবির প্রতি মনোযোগী রয়েছে।

তবে দেশের দুটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল—আওয়ামী লীগ ও বিএনপি, উভয়েই দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বক্তৃতায় বলেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চায় এবং চলতি বছরই গণতন্ত্রে ফিরে আসতে চায় বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী আব্দুল মঈন খান।

রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করব যে তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো পথ হলো দ্রুত নির্বাচন দেওয়া এবং সম্মানজনকভাবে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানো।’

তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরের পরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। নির্বাচন বিলম্বিত হলে দেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হবে, যা অস্থিতিশীলতার কারণ হতে পারে।

ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানকালে তিনি জানান, বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চান।

বিএনপির নির্বাচনী পরিকল্পনা নিয়ে মঈন খান বলেন, আমাদের এখনো কোনো জোটের অংশ হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা নেই। তবে নির্বাচিত হলে ছাত্র নেতৃত্বাধীন জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলের সঙ্গে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পর যারা গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবে, তাদের সবাইকে নিয়ে আমরা সরকার গঠন করতে চাই।