মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ড. ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রী দেখার আকাঙ্ক্ষা সারজিসের, যা জানালেন বিশ্লেষকরা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৫, ০১:০২ পিএম

ড. ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রী দেখার আকাঙ্ক্ষা সারজিসের, যা জানালেন বিশ্লেষকরা

ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।

সে পোস্টে তিনি উল্লেখ করেছেন, ড. ইউনূসকে আগামী ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার আকাঙ্ক্ষার কথা জানান তিনি।

তবে তার এই পোস্টকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহলে চলছে নানা কানাঘুষা।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সব রাজনৈতিক দল। একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপের দিন গুনছে তারা। এমন সময় সারজিস আলমের এমন পোস্ট নিয়ে মন্তব্য করার কোনো আগ্রহ দেখাননি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

এ বিষয়ে তিনি বলছেন, সারজিসের পোস্টেরব্যাপারে আমার তেমনই কিছু বলার নেই।

সারজিস আলমের পোস্ট নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এটা একান্তই তার ব্যক্তিগত মন্তব্য।

জামায়াতের এ ব্যাপারে মতামত নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। তবে তার আগে প্রয়োজনীয় সংস্কারে যতটুকু সময় প্রয়োজন তা অন্তর্বর্তী সরকারকে দিতে প্রস্তুত তারা এবং এটাই অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব বলে মনে করেন তিনি।

সংসদ বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ভেঙে দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ক্ষমতায় আসলে কোনো সমস্যা নেই। তবে অনির্বাচিত অবস্থায় ৫ বছর থাকা যাবে না। এতে সংকট আরও বাড়বে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার সারজিসের এই আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ- জনগণকে এক ধরনের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে।

কেউ কেউ বলছেন, সময়ে-অসময়ে এমন নতুন ইস্যু তৈরি করা বক্তব্য, জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করা আর তা থেকে জনদৃষ্টি সরানোর চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। এ ধরনের ব্যক্তিগত মন্তব্য অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেয়া ড. ইউনূসকেই বিতর্কিত করতে পারে।

অন্যদিকে অন্যান্য দলের নেতারা মনে করছেন, সব মন্তব্যকে আমলে নেবার প্রয়োজন নেই। এতে অভ্যুত্থানের অর্জনও বিসর্জনে পর্যবসিত হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। তাই অতি কথন পরিহার করা উচিত। এ ছাড়া নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে ড. ইউনূসকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। সেক্ষেত্রে একটি রাজনৈতিক দলেও যোগ দিতে হবে। তা কতটুকু সম্ভব। তা ছাড়া ড. ইউনূসের এটি নিজস্ব মতামতও নয়। প্রধান উপদেষ্টার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, তার রাজনীতিতে থাকার কোনো ইচ্ছে নেই।

আরবি/জেডি

Link copied!