রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫

খোমেনীর ইমামতিতে নামাজরত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান!

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৫, ১০:৪৩ পিএম

খোমেনীর ইমামতিতে নামাজরত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান!

ইরানের আয়াতুল্লাহ খোমেনীর ইমামতিতে নামাজরত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ইরানের রূপকার আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ মুসাভি খোমেনী নামাজের ইমামতি করছেন। আর তার পেছনে সাবেক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

একই কাতারে আছেন পাকিস্তানের আর্মি জেনারেল ও তৎকালীন পাকিস্তানের শাসক জিয়াউল হক। এছাড়াও রয়েছেন আরও কয়েকজন মুসলিম বিশ্বের নেতা। তারা খোমেনীর ইমামতিতে নামাজ আদায় করছেন।

এমন একটি ছবি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। অনেকেই ছবিটি প্রকাশ করছেন। বলা হচ্ছে ১৯৮০ সালের ইরাক এবং ইরান যুদ্ধের কথা। সেই যুদ্ধ যখন শুরু হয়, তখন মুসলমান দেশগুলো একত্রে মিলিত হয়েছিল। উদ্দেশ্যে একটাই ওই যুদ্ধ থামানো।

আরও বলা হচ্ছে, মুসলমান দেশগুলোর পক্ষ থেকে ৮ জনকে নির্বাচিত করা হয়  ইরাক-ইরানের মধ্যে সমঝোতা করতে। এই আটজনের মধ্যে একজন ব্যক্তি ছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়া।

বাকীরা ছিলেন ওয়াইসির মহাসচিব, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, ইয়াসির আরাফাত, গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রমুখ। তারা সফলতার সাথে যুদ্ধ বন্ধ করতে সক্ষম হোন। অনানুষ্ঠানিক ভাবে এই বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়া, এমনটাই দাবি করা হচ্ছে।

মূলত বিষয়টি সামনে এসেছে ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিষয়ে। বিশ্বের মুসলিম নেতাদের দুর্বলতায় সেখানে ইহুদি রাষ্ট্রটি বরবর্তা চালিয়ে যাচ্ছে। তার দুই’শ কোটি মুসলিম তা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে।

তখন বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বের বিষয়টি সামনে আনেন।

ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঢাকায় এক বিশাল র‌্যালী করেছিল বিএনপি।

ওই র‌্যালিপূর্ব সমাবেশের প্রধান অতিথি দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মন্তব্য করেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ‘ইসরায়েল ওই অপকর্ম করার সাহস পেত না।’

 

তার ওই খন্ড বক্তব্যে তোলপাড় দেশ। তবে বিএনপির ওই জ্যেষ্ঠ নেতা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছিলেন, জিয়াউর রহমান ‘ইরাক-ইরান যুদ্ধ বন্ধে’ হস্তক্ষেপ করেছিলেন।

‘আমি বিশ্বাস করি যদি আজকে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকতেন এমন ভূমিকা নিতেন যে ইসরায়েল এই অপকর্ম করার সাহস পেত না। তার মতো নেতৃত্ব দরকার, যিনি সারা পৃথিবীর নেতৃত্ব দিতে পারবেন।’

মির্জা আব্বাসের ওই বক্তব্য অনেকেই অনুসন্ধান চালান। এতে বেরিয়ে আসে ‘ইরাক-ইরান যুদ্ধ বন্ধে’ জিয়াউর রহমানের তৎপরতা। এও বেরিয়ে আসে ওই সময়কার কিছু ছবি। যার একটি ইরানের রূপকার খোমেনীর ইমামতিতে জিয়ারউর রহমানসহ বিশ্ব নেতাদের নামাজ আদায়ের দৃশ্য।

সামাজিক যোগাগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অনেকেই সে ছবিগুলো পোস্ট করছেন।

ফেসবুকে নিজের আইডিতে শরিফুল আলম নামের একজন ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমাদের এই প্রজন্মের অনেকেই হয়তো জানে না!’

‘ইরাক- ইরান যুদ্ধের সময় সকল মুসলিম নেতারা একত্রিত হয়ে গিয়েছিলেন যুদ্ধ বন্ধ করতে। যার একটা বিরাট অবদান যায় জিয়াউর রহমানের প্রতি।’

অনেকে আবার ওই যুদ্ধ বন্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে নিজের বিপদ ডেকে এনেছিলেন বলেও মন্তব্য করছেন।

হাবিবুর রহমান একজন ফেসবুকের লিখেন, ‘জিয়াউর রহমান যখন ইরাক - ইরান যুদ্ধের মধ্যস্থতার দায়িত্ব নেন তখনই তিনি আসলে নিজের মৃত্যু পরোয়ানায় সাইন করে ফেলেন।

‘প্রতিবেশী ভারত এবং দেশের মধ্যকার মীরজাফর গোষ্ঠী আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের একজন নেতাকে আন্তর্জাতিক নেতা বা মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী নেতা হয়ে ওঠা মেনে নিতে পারেনি। ইরাক-ইরান যুদ্ধের মধ্যস্থতা, আল কুদসের সদস্য হওয়া,  সার্ক প্রতিষ্ঠার ধারণা দেওয়া - এসব কারণে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র তরান্বিত হয়।’
 

আরবি/ফিজ

Link copied!