ঢাকা বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫

‘বিগত ১৫ বছর নববর্ষ পালনেও ষড়যন্ত্র হয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৫, ০৬:১৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিগত ১৫ বছর ধরে পরিকল্পিতভাবে একটি দেশের সংস্কৃতি আমাদের দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর পরীবাগে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ‘সতীর্থ স্বজন’ এই আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

রিজভী বলেন, এই দিনে মুখোশের আড়ালে আমাদের নেত্রীর (বিএনপি চেয়ারপারসন) বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হতো। এমনকি দাড়ি ও টুপি নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু দাড়ি-টুপি পরা মানেই কি কেউ খারাপ? অবশ্যই না।

জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তুমুল আন্দোলন চলছে, আমি তখন কারাগারে। সেখান থেকে শুনতে পাই— তারুণ্যের উদ্দীপনা, তেজ। পুলিশ বলছে, ‘একজন গুলিতে পড়ে, আরেকজন এসে দাঁড়ায়।’ এই উদ্দীপনা এসেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামসহ অনেক কবি-সাহিত্যিকের গান ও লেখার মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন, ১৬ বছর ধরে আমাদের যে লড়াই, সেটি ছিল গণতন্ত্র নিশ্চিত করার জন্য। সেই গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে এখন আর কোনো টালবাহানা চলবে না। এ শুভ নববর্ষে জাতির প্রত্যাশা— দ্রুত ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক। কারণ, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা জনগণের ভোটাধিকারসহ সব নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়ে স্বৈরশাসন কায়েম করেছেন।

গণতন্ত্র ও সংস্কারের প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ভোটাধিকারকে সংস্কারের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে কেন? গণতন্ত্র মানেই সংস্কার। গণতন্ত্র একটি প্রবাহমান খরস্রোতা নদীর মতো— যেখানে কর্তৃত্ববাদের কোনো স্থান নেই। আর যেখানে কর্তৃত্ববাদের স্থান নেই, সেখানেই প্রকৃত গণতন্ত্র প্রবাহিত হয়। সংস্কার মানেই সেই ধারা বজায় রাখা।

তিনি বলেন, বিএনপিকে এখন অনেক ‘উপদেষ্টা’ শত্রু মনে করছে। তারা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারকে বাদ দিয়ে কেবল সংস্কার নিয়ে ভাবছে— এটি আমাদের বোধগম্য নয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন— জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম, কবি রেজা স্টালিন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুব ইসলাম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ প্রমুখ।