ঢাকা বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫

রাজনৈতিক ঐক্য নিয়ে বার্তা মির্জা ফখরুলের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৫, ০৮:২৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সিঙ্গাপুরে এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে সস্ত্রীক দেশে ফিরে তিনি এই আহ্বান জানান।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এবারের বৈশাখ অতীতের সব জঞ্জাল সরিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে যান মির্জা ফখরুল ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম। এর আগে, ২০১৫ সালে কারাবন্দি অবস্থায় তার ঘাড়ের ইন্টারন্যাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়ে। মুক্তির পর তিনি সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এছাড়া, ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বরেও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তারা।

অন্যদিকে, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রাজধানীর পরীবাগে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে পরিকল্পিতভাবে একটি ভিন্ন সংস্কৃতি আমাদের দেশে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি এই পহেলা বৈশাখেও মুখোশের আড়ালে আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হতো। দাড়ি-টুপি পরা মানুষদের নিয়েও নানা ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু দাড়ি-টুপি পরা মানেই খারাপ—এই ধারণা বিভ্রান্তিকর।

জুলাইয়ে ছাত্রদলের আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমি তখন কারাগারে ছিলাম। সেখান থেকেও শুনেছি তরুণদের তেজ, উদ্দীপনা—পুলিশ গুলি চালিয়ে একজনকে ফেলে দিচ্ছে, আবার সেখানে আরেকজন এসে দাঁড়াচ্ছে। এই উদ্দীপনার উৎস ছিল জাতীয় কবি নজরুল ইসলামসহ কবিদের প্রেরণাদায়ী লেখা। আমাদের ১৬ বছরের লড়াই গণতন্ত্রের জন্য—সেটি অর্জন করতেই হবে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা নিয়ে কোনো টালবাহানা চলবে না।

ফ্যাসিবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুভ নববর্ষে জাতির প্রধান আকাঙ্ক্ষা—ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া। কারণ ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশের মানুষের ভোটাধিকারসহ সব অধিকার কেড়ে নিয়ে কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

সংস্কার প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, গণতন্ত্র মানেই সংস্কার। এটি হচ্ছে একটি প্রবাহমান খরস্রোত নদীর মতো—যেখানে কর্তৃত্ববাদের কোনো জায়গা নেই। সংস্কার মানেই সেই ধারায় গণতন্ত্রকে প্রবাহিত রাখা।