ঢাকা বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫

দুই কারণে আটকে আছে জামায়াতের নিবন্ধন

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের রাজনৈতিক নিবন্ধন আট মাস ধরে ঝুলে রয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। জামায়াতের দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরে পাওয়ার বিষয়টি এখন নির্ভর করছে সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের ওপরে।   

এ বিলম্বের পেছনে রয়েছে দুটি প্রধান কারণ- মামলার পক্ষের আইনজীবীর অনুপস্থিতি এবং এক বিচারপতির দুর্ঘটনা।  সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত একটি ‘সার্টিফিকেট আপিল’ করেছে, যা সংবিধান সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের আওতাভুক্ত হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ শুনানি প্রয়োজন। 

তিনি বলেন, “মামলাটির শুনানি শুরুও হয়েছিল। কিন্তু মূলত যারা মামলার অপরপক্ষ, তাদের প্রধান আইনজীবী দেশের বাইরে থাকায় শুনানি বিলম্বিত হয়। তারা আদালত থেকে সময় নিয়েছেন, আইনজীবী উপস্থিত থাকবেন কি না- সে নিশ্চয়তা না থাকায় শুনানি বাধাগ্রস্ত হয়েছে।” এরপর দ্বিতীয় ধাপে আরও একটি সমস্যা দেখা দেয়। 

শিশির মনির জানান, “শুনানি যখন এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন মামলায় নিযুক্ত একজন বিচারপতি দুর্ঘটনায় পড়েন এবং প্রায় এক মাস আদালতে উপস্থিত থাকতে পারেননি। এ কারণে মামলাটি ফের স্থবির হয়ে পড়ে।” আইনজীবী শিশির মনির জানান, “আগামী ২০ এপ্রিল আদালত খুলছে। প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার ও বুধবার এই আপিল মামলার শুনানি হয়। সেই হিসেবে ২২ ও ২৩ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ হতে পারে। আশা করছি, শুনানির বাকি অংশ দ্রুতই শেষ হবে।”

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “জামায়াত ১৯৭৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সব জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫৫ জন জামায়াত নেতা সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, যার মধ্যে ৫ জন নারী।” তিনি আরও বলেন, “নিবন্ধন না পাওয়া নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য বেদনাদায়ক। তবে আমরা বিশ্বাস করি, আইনের যথাযথ প্রক্রিয়ায় আমরা ন্যায়বিচার পাব। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মানুষের সমর্থন নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করছে।” তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “আদালত নিশ্চয়ই সংবিধান ও আইনের আলোকে আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দেবে।”