গণতন্ত্রের বিকল্প সংস্কার হতে পারে না: রিজভী

নির্বাচন না দিয়ে সংস্কারকে বিকল্প ভাবা বা গুরুত্ব দেওয়ায় সরকার কোনো গোপন পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে এম ইলিয়াস আলী গুম প্রতিরোধ কমিটি আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‍‍অন্তর্বর্তী সরকার কি কোনো পরিকল্পিত নকশা নিয়ে কাজ করছে? জনগণের মধ্যে বড় প্রশ্ন এখন সেটাই। এসব কারণেই একটি ধোঁয়াশাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।‍‍

তিনি বলেন, সরকারের নির্বাচনী ওয়াদা ডিসেম্বর আর জুনের মধ্যে পেন্ডুলামের মতো দুল খাচ্ছে কেন? অন্তর্বর্তী সরকারকে এটার জবাব দেওয়া দরকার। আমরা তো চেয়েছি একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। আমরা চেয়েছি, আমাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। আইনের শাসন নিশ্চিত করা। অন্তর্বর্তী সরকারকেই জায়গাটি নিশ্চিত করা দরকার।

তিনি সরাসরি সতর্ক করে বলেন, জনগণের সঙ্গে প্রতারণার চেষ্টা করলে পরিণাম শুভ হবে না।

নির্বাচনের কমিটমেন্ট নিয়ে সংশয় প্রকাশ জামায়াত আমিরের

বিস্তারিত পড়ুন

রিজভী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রায় নয় মাস পেরিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগের আমলে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রায় ৬০ লাখ মামলার এখনো কোনো নিষ্পত্তি হয়নি।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা ভোট, নির্বাচন ও ভোটাধিকারের কথা বললে সরকার কিছু কথা বিকল্প হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে। গণতন্ত্র মানেই তো নির্বাচন। গণতন্ত্র মানেই তো ন্যায়বিচার। সেগুলো নিয়ে কী করছে এ সরকার?

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংস্কার নিয়ে সংলাপে অংশ নিচ্ছে এবং সেই প্রক্রিয়া এখন শেষের পথে।

‘তবে প্রশ্ন থেকেই যায়—বাংলাদেশের নির্বাচন এখনো কেন ডিসেম্বর আর জুনের দোলাচলে ঝুলে আছে? এ বিষয়ে সরকারের একটি স্পষ্ট ব্যাখ্যা দরকার,’ বলেন রিজভী। 

‘আমি বলব না সরকার কিছুই করছে না—হয়তো করছে। কিন্তু ভোটাধিকার, যার জন্য আমরা ১৫-১৬ বছর ধরে লড়েছি, তা আজও অধরাই রয়ে গেছে। কেন নির্বাচনের পরিবর্তে সংস্কারকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে,’ প্রশ্ন রাখেন এ নেতা।

রিজভীর মতে, গণতন্ত্রের বিকল্প সংস্কার হতে পারে না।