রাস্তায় নামলে অনেক উপদেষ্টার দেশ ছাড়তে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
পোস্টে তিনি বলেন, ১/১১-এর সময়েও রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি কিছু শীর্ষ ব্যবসায়ীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এটি ঠিক, কিছু রাজনীতিবিদকে গ্রেপ্তারের পেছনে সরকারের একটি নিজস্ব এজেন্ডা থাকলেও যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই দুর্নীতি, দখল, চাঁদাবাজি, অর্থপাচার, কর ফাঁকির সুস্পষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণের ভিত্তিতে। অন্যদিকে, ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর বলতে গেলে ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট রেজিমের অবৈধ সুবিধাভোগী দখলবাজ, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দুর্নীতিবাজ লুটেরা, পাচারকারীদের গ্রেপ্তার করা তো হয়-ইনি। বরং অনেককে সেইফ এক্সিটের পাশাপাশি তাদের অবৈধ অর্থ সরানো, সম্পদের মালিকানা পরিবর্তনেও সহযোগিতা করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরও কারো বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আলোচিত এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো থেকে এস আলম সংশ্লিষ্টদের অপসারণের মতো কিছু পদক্ষেপ নিলেও ফ্যাসিবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক ভূমিদস্যু, দখলবাজ, লুটেরা বসুন্ধরা, ওরিয়নের মতো দখলবাজ লুটেরাদের বিরুদ্ধে এখনো দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উন্নয়নের নামে হরিলুটের বাজেটে সবাইকে ম্যানেজ করে আওয়ামী জমানায় একচেটিয়া টেন্ডারবাজি করা তমা কনস্ট্রাকশন, এনডিই (ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার) এ সরকারের আমলেও হরদম কাজ করে যাচ্ছে।
সাবেক ভিপি নুর বলেন, বিজ্ঞাপনের বাজারকে এককেন্দ্রিক করে জয়বাংলা কনসার্টসহ বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠান, বিদেশি শিল্পী আনার নামে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারকারী এশিয়াটিক গ্রুপ এখনো ব্যবসা করে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে!
তিনি বলেন, পরিশেষে বলতে চাই ২৪-এর বাংলায় ফ্যাসিস্ট লুটেরা, মাফিয়াদের ঠাঁই নেই। উপদেষ্টাদেরও সাবধান করে বলতে চাই অনতিবিলম্বে লুটেরা, মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। এদের রক্ষা করতে আসলে নিজেরা রক্ষা পাবেন না। ভুলে যাবেন না, এ পরিবর্তন আনতে আপনারা রাজপথে রক্ত দেননি, জেলে যাননি, নির্যাতনের শিকার হননি, আপনাদের পরিবারের কেউ গুম হননি। কাজেই আমাদের আবার রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না। আমরা আবার রাস্তায় নামলে অনেক উপদেষ্টার দেশ ছাড়তে হবে।’